বিশেষ প্রতিনিধি
বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে টানা ছয় দিন অবস্থান শেষে অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে চাচি-ভাতিজার বিয়ে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের ব্যাপারীপাড়ায় ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের মাইদুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা খাতুন (২৫) দুই সন্তানের জননী। আর প্রেমিক ভাতিজা আব্দুল আজিজ (২০) মাইদুল ইসলামের আপন চাচাতো ভাই গণি মোল্লার ছেলে। দুই-তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিয়ের দাবিতে রুবিনা প্রেমিক আব্দুল আজিজের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এরপর থেকে টানা ছয় দিন সেখানেই অবস্থান করেন তিনি।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভাতিজার পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন।
এদিকে ঘটনাটি জানার পর রুবিনার স্বামী মাইদুল ইসলাম তৃতীয় দিনেই তাকে তালাক দেন। অন্যদিকে প্রেমিক আজিজ বিষয়টি অস্বীকার করে পালিয়ে যান।
তবে ছয় দিন পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আনছার আলী। তিনি বলেন, রুবিনা খাতুন ছয় দিন ধরে আজিজের বাড়িতে ছিলেন।
বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য স্থানীয়রা উদ্যোগ নেন। শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সায়েদ আলী বলেন, এ ঘটনায় পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
অবশেষে বিয়ে হওয়ায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। উল্লেখ্য, বিয়ের দাবিতে চাচির অবস্থান এবং ভাতিজার পলায়নের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাপড়হাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী বলেন, ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে বলে জেনেছি। এখন এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত।
Sharing is caring!