
বিশেষ প্রতিনিধি।
সাঘাটা উপজেলার চন্দন পাট গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে মহিমাগঞ্জে গণধ’র্ষণের ঘটনায় সাব্বির(২৫) নামে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, সাঘাটা থানাধীন ওসমানের পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ২সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং সকাল অনুমান ৯ঘটিকার সময় স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ী হইতে আসামী শান্ত এর অটোযোগে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাহির হয়।
এরপর আসামী শান্ত ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে তার অটো যোগে বেড়ানোর কথা বলিয়া সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় আসামী সুজনের দেখা-শুনার দায়িত্বে থাকা গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর (বকুলতলা) মৌজাস্থ খোরশেদ আলম পলাশের টিন সেড নির্জন বসতবাড়ীর দক্ষিন পার্শ্বের পশ্চিম দুয়ারী শয়ন ঘরের ভেতর লইয়া আসামী সুজন এর সহায়তায় আসামী সাব্বির ও শান্ত ওই স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধ’র্ষন করে।
ভিকটিম বাড়ীতে আসিয়া তাহার লোকজনদের বিষয়টি জানাইলে ভিকটিমের বাড়ীর লোকজন আসামী শান্ত ও সাব্বির এর বাড়ীতে যাইয়া ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আসামীদ্বয় বাকবিতন্ডায় জড়ায়।
তখন গ্রামবাসী ঘটনার উত্তেজিত হইয়া আসামী সাব্বিরকে এলোপাথারী কিল ঘুষি লাথি মারে।এই সুযোগে আসামী শান্ত পালাইয়া যায়। এ খবর পেয়ে সাঘাটা থানা পুলিশ আসামী সাব্বির এর বাড়ীতে উপস্থিত হইয়া আসামী সাব্বিরকে হেফাজতে গ্রহন পূর্বক সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লইয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
এঘটনায় জড়িত যুবক সাব্বির (২৫), পিতা- শাহজাহান আলীকে গ্রেফতার করে ২। শান্ত (২৪), পিতা-মন্টু, উভয় সাং-চন্দনপাট, থানা-সাঘাটা, ৩। সুজন (২৪), পিতা- মোখলেছুর রহমান ওরফে মোক্তার হোসেন,সাং-ভাঙ্গারী পাড়া (পান্তামারী), থানা-গোবিন্দগঞ্জ, সর্ব জেলা-গাইবান্ধাদ্বয এর বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানার মামলা নং-০৮, তারিখঃ ০৩/০৯/২৫ ইং ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৯(৩)/৩০ দায়ের হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Sharing is caring!