
প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় সম্প্রতি ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ও উদ্বেগজনক ঘটনা। রেললাইন সংলগ্ন পাকারমাথা সরকার বাড়ির পাশে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও একজন তরুণকে মারধরের ঘটনা চিত্র ধারণ করতে গিয়ে বর্বর হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক হালিম মন্ডল।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, তিনি খবর পেয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। ঠিক সেই সময় হিমেল নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা তাকে বাধা দেয় এবং অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা বার্মিজ চাকু ব্যবহার করে সাংবাদিক হালিম মন্ডলকে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। এ সময় আশপাশে উপস্থিত কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করতে পারেননি।
এই বর্বর হামলার ঘটনায় স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার আজ হুমকির মুখে। এ ঘটনায় হালিম মন্ডল কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন, তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, যা উদ্বেগের বিষয়।
স্থানীয়রা জানান, ঐ এলাকায় একদল বখাটে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত, কিন্তু প্রশাসনের নিরব ভূমিকা তাদের আরও বেপরোয়া করে তুলেছে।
আমরা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি:
১. হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
২. সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
৩. মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চন্দ্রা এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হোক।
সাংবাদিক হালিম মন্ডলের ওপর হামলার ঘটনাটি শুধু একজন পেশাদার সংবাদকর্মীর ওপর আক্রমণ নয়, এটি মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এর সুষ্ঠু বিচার না হলে আগামী দিনে গণমাধ্যমকর্মীরা আরও অনিরাপদ হয়ে পড়বেন।
Sharing is caring!