
মো কামরুল হোসেন সুমন,
মনপুরা:
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার ০৮নং চর কৃষ্ণপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাহাউদ্দীন হাওলাদার। অত্র বিদ্যালয়ের স্লিপ বরাদ্দের বিল ভাউচার করে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী মনিরুল ইসলামের কাছে জমা প্রদান করেন, অতঃপর হিসাব সহকারী মনিরুল ইসলাম উক্ত বরাদ্দের বিল পাস করানোর জন্য অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাহাউদ্দিনের কাছে দুইজন সাক্ষীর মোকাবেলায় গত ২৯- ৪ -২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা ০৭:৩০ ঘটিকায় ৫০০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরবর্তীতে ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী মনির মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষক বাহাউদ্দিন কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ, বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দেন। আরো বলেন আমি শিক্ষা অফিসের একাউন্টেন্ট আমার সই ছাড়া বিল বেতন হয় না, এমনই একটি কল রেকর্ড পুরো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। ব্যাপারটি নিয়ে শিক্ষক সমাজে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, একই সাথে শিক্ষার্থীরাও এ ব্যাপারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। একজন জাতি গড়ার কারিগর প্রধান শিক্ষক ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে এমন জঘন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুরো শিক্ষিত জাতিকে কলঙ্কিত করেছে বলে মনে করে স্থানীয় সর্বসাধারণ সুশীল সমাজের ব্যাক্তিরা। পরে ঐ শিক্ষক বিভাগীয় উপপরিচালক,প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরিশাল বরাবর একটি স্মারকলিপি পাঠান। এর আগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে চিঠি করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান প্রধান শিক্ষক বাহাউদ্দিন। এছাড়া অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মনপুরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যুবলীগের পদ পদবীতে থেকে রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে শিক্ষা অফিসে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী একাধিক অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মিজ নিলুফার ইয়াসমিন বলেন অভিযোগ প্রক্রিয়াধীনে রয়েছে,তজন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করব।
Sharing is caring!