
স্টাফ রিপোর্টার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ৪ নং ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে সুস্থ্য ব্যাক্তিকে প্রতিবন্ধী সাজিয়ে প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর অর্থ আত্নসাত সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
ইউপি সদস্য হারুন, ৪ নং ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে অত্র ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ভূয়া প্রতিবন্ধী তালিকা তৈরি করেন ও নিজের শ্বশুরের ৩ স্ত্রী সহ শ্যালিকা,ফুফু, চাচী ও আরো কিছু স্বজনদের সুস্থ্য হওয়া স্বত্বেও প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর তালিকায় এনে কার্ড করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে, অত্র ইউনিয়নের ছয়ঘট্টি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হালিম মিঞা, পিতা- মৃত ইউনুস আলী বাদী হয়ে ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়াও অনেকে জানেন না যে তাদের নামে প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর অর্থ অন্য নাম্বারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অত্র ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পাটশোও গ্রামের শহর বানু নামে প্রতিবন্ধী তালিকায় ০১৭৫৪২৪৪৩৫৯ নাম্বারে, মোহাম্মদ আলী,পিতা-মৃত খোকা শেখ এর নামে ০১৬৩৭৯২৯৩৩৮ নাম্বারে ও আজিবর রহমান,পিতা- মৃত আজিমুদ্দিন এর নামে ০১৬৪৫৫৬২০৩৪ নাম্বারে মোবাইল ব্যাংকিং(নগদ, বিকাশ, রকেট,অন্যান্য) এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর সরকারি অর্থ উত্তোলন করা হয়।
কিন্তু উক্ত ব্যাক্তিরা জানেনই না যে তাদের নামে টাকা উত্তোলন করা হয়। অত্র ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ১৬৭ জনের নাম প্রতিবন্ধী তালিকায় থাকলেও ৭৬ জনই ভুয়া প্রতিবন্ধী ও তাদের নাম অর্থের বিনিময়ে তালিকায় দেয়া হয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।
উক্ত অভিযোগের ব্যাপারে,দিনাজপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুনীর হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আরো কিছু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার সত্যতা জানার জন্য ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
৪নং ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাগণ ও বঞ্চিত প্রতিবন্ধীরা সহ এলাকার সচেতন জনসাধারণ অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির জন্য দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ ও ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
Sharing is caring!