
বিশেষ প্রতিনিধি: কখনো শফিকুর রহমানের ঘনিষ্ট কখনো হাবিবুর রহমানের ভাগ্না পরিচয়ে গত ১৬ বছর রাগিব রাবেয়া ডিগ্রি কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়ি ঘুরিয়েছেন আব্দুল ওয়াহাব নামের একজন শিক্ষক।
ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারের কভার ফটোতে পতিত স্বৈরাচারি হাসিনার ছবি লাগাতেন। একজন শিক্ষকের এমন নগ্ন রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে পুরো ডিগ্রি কলেজে একটা অস্বস্থিকর রাজনৈতিক আবহ বিরাজ করে।
আব্দুল ওয়াহাব ও তার দুই সহযোগী মোঃ নুরুল আমিন ও মোঃ আমিনুল ইসলাম মিলে ভিন্নমতাবলম্বী বিএনপি জামায়াতের শিক্ষকদের সাথে নির্মম আচরণ করে মানুষিক যন্ত্রনা দিতো। তাদের হুমকি ধামকির ভয়ে অনেক শিক্ষককরা তটস্থ থাকত। প্রায়ই শিক্ষকদের বিএনপি জামায়াত ট্যাগ দিয়ে মানুষিক নিপীড়ন করা হতো।
আওয়ামী ভক্ত শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব এর বিরুদ্ধে আরো গুরুতর অভিযোগ করেন কয়েকজন শিক্ষক, তাদের চাকরি বাঁচিয়ে রাখতে আব্দুল ওয়াহাবকে টাকা দিতে হয়েছে। তাছাড়া স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকুরী থেকে বরখাস্তের ভয়ভীতি দেখিয়ে এই টাকা টাকা আদায়ের অভিযোগ ও রয়েছে তার উপর
একজন শিক্ষক জানান গত ১৬ বছর সে শিক্ষকতা করে নি। সে আওয়ামী লীগের নোংরা পলিটিক্সের কারনে রাগিব রাবেয়া ডিগ্রি কলেজের সামগ্রিক শিক্ষা পরিবেশ বিনষ্ট করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একজন শিক্ষক জানান , ২০১৪ সালে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে আগুন এর ঘটনা ওয়াহাবের ইন্ধন ছিলো , রাগীব রাবেয়া ডিগ্রি কলেজ রাজনীতি মুক্ত ছিল, ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করে মারা মারির মাধ্যমে কলেজ ৩ মাস বন্ধ হয়। তার কারনে কলেজে রাজনীতির বিষবাষ্প ছড়ায়। আলীয়া মাদ্রাশার মাঠে শেখ হাসিনার জনসভায় সব শিক্ষক বাধ্যতামুলক উপস্তিত না থাকার কারনে বিএনপি জামায়াতের শিক্ষক দের উপর নির্যাতন, ছাত্রলীগের ছেলেদের দিয়ে প্রতিদিন কলেজে মহড়া দেয়া ,কেউ কথা বললে মামলার হুমকি দেয়া- এগুলো ছিলো শিক্ষক নামধারী আব্দুল ওয়াহাবের কর্মকান্ড l
একটি সূত্র থেকে জানা যায় এখন সে ভোল পাল্টে বিএনপিতে ঢুকার চেষ্টা করছে।
এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে আব্দুল ওয়াহাবের ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Sharing is caring!