
আমিরুল ইসলাম কবির::
অযোগ্য,অদক্ষ,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরয়নি,এসব একাধিক পেশার ব্যক্তি,’ব’ কলম,ভুঁইফোড়,দাদন ব্যবসায়ী (সুদারু),কসাই,জুয়ারু,মদারু, তাসারু,ডাকাত,পান দোকানদার,শ্রমিক,হকারসহ নানা কিছিমের লোক যখন দেখি সাংবাদিক ! দায় নেবে কে..? দোষ কার..?
একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে তখন প্রশ্ন জাগে ? এদের সৃষ্টি/তৈরী করলো কে ? আর এ ধরনের ব্যক্তিরা কীভাবে পত্রিকা/টিভি/অন লাইন/রেডিওসহ বিভিন্ন গন মাধ্যমের কার্ড/নিয়োগপত্র পায় আমার বুঝে আসেনা !
আার সংবাদপত্র এবং সাংবাদিককে বলা হয় জাতির বিবেক,সমাজের দর্পণ।
যারা-কূখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী (সুদারু),কসাই,জুয়ারু,মাদক ব্যবসার অভিযোগ আছে এমন ব্যক্তি,চোর-ডাকাত নানা দোষে দূষিত এসব লোক যখন সাংবাদিক পরিচয় দেয়,তখন জাতির বিবেক “সাংবাদিক” শব্দটির কথা মনে হলে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায়,এই জন্য যে, আমিও একজন সাংবাদিক।
সরকার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রত্যাশা এবং সময়ের দাবী,অপ-সাংবাদিকতা রোধে শুদ্ধি অভিযান চালানো উচিৎ।
তাছাড়া সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সময়ের দাবী এবং এ ডিজিটাল সময়ে কমপক্ষে স্নাতক বা সমমানের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা উচিৎ। মফস্বল নারী সাংবাদিক এর ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিক করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি।
তাছাড়া,যারা দীর্ঘবছর থেকে এ পেশায় যুক্ত,তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা যেতে পারে মেধা অনুযায়ী।
এছাড়া,ছাত্র,শিক্ষক,এনজিও কর্মী ও অন্যান্য পেশার ব্যক্তিদের কোনো প্রতিবেদন যদি প্রকাশ হয়,তাহলে তাদেরকে সম্মানজনক সম্মানী দেয়া যেতে পারে।
সেই সাথে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী গ্রহনযোগ্য নীতিমালা থাকাও দরকার।
অবসরে মনে হয়, অনেক বলে ফেললাম।
“বলার আছে আরো কতো যে কথা,সময় এবং সুযোগ পেলে বলতেও পারি তা”।।
ধন্যবাদসহ গভীর আন্তরিকতায়,
আমিরুল ইসলাম কবির
সিনিয়র সাংবাদিক
কবি ও আবৃত্তি শিল্পী
পলাশবাড়ী,গাইবান্ধা।
মুঠোফোনঃ ০১৭১৯-২৫৬১৭৫
Sharing is caring!