১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বাজারে ফর্মালীন যুক্ত ফল ভোক্তা অধিকার ও কৃষি বিভাগের কাদা চুড়াচুড়ি ভোক্তা অধিকার অধিদফতর নিরব ক্রেতা প্রতারণার শিকার।

admin
প্রকাশিত জুন ২৩, ২০২৫, ০৫:৩১ অপরাহ্ণ

Manual6 Ad Code

তানিন আফরিন

Manual8 Ad Code

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা জেলা শহরসহ উপজেলা গুলোতে ভোক্তা অধিকারের নিয়মিত অভিয়ান পরিচালানা করার নিয়ম থাকলেও তা কারো চোঁখে পরছেনা।ফলে বিক্রেতারা দিদাচে ফরমালিন যুক্ত দ্রব্য ও ফল বিক্রয় করছেন। ক্রেতাদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য কাজ করে থাকেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এর মধ্যে রয়েছে ন্যায্য মূল্যে পণ্য ও সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য বিক্রি বন্ধ করা, এবং প্রতারণামূলক কার্যকলাপ থেকে ভোক্তাদের রক্ষা করা। এছাড়াও, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সহায়তা করে থাকে।সঠিক পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করা
অধিদপ্তর নিশ্চিত করে যে, ভোক্তারা সঠিক ও মানসম্মত পণ্য ও সেবা পায়।
বিক্রেতাদের জন্য পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক করা এবং অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি বন্ধ করা।
বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি বন্ধ করা এবং এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।ভেজাল ও নকল পণ্য বিক্রি বন্ধ করা এবং এ ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া।
পণ্যের ওজনে কারচুপি বন্ধ করা এবং ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার নিশ্চিত করা।
পণ্যের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করা বন্ধ করা।
সাধারণ মানুষকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এবং অধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো।
ভোক্তাদের অভিযোগ গ্রহণ করা এবং তা নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।অধিকার লঙ্ঘিত হলে ভোক্তাদের আইনি সহায়তা প্রদান করা।
নিয়মিত বাজার তদারকি করে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যকলাপ রোধ করা।বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।সংক্ষেপে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা যা ক্রেতাদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য কাজ করে থাকেন। কিন্তু এসবের কোন কিছুই করেন না গাইবান্ধা জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। কি কারণে নিরব ভুমিকা পালন করছেন তাও স্পষ্ট নয়। বর্তমানে জেলা শহরসহ উপজেলার বাজারে ভিভিন্ন প্রজাতির আম বিক্রয় করা হচ্ছে এবং মৌসুমি ফল হিসেবে ক্রেতারাও কিনছেন।কিন্তু ফরমালিন মুক্ত রয়েছে কি না দেখভাল করার দায়িত্ব,ভোক্তা অধিকার দধিদফতরের। কিন্তু তারা বলছেন অন্য কথা।গতকাল সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচারক পরেশ চন্দ্র বর্মন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মে মাস পর্যন্ত ২৪২ টি অভিযান পরিচালানা করে ৩৬৬ টি প্রতিষ্টানের ১১ লাখ ১৯ হাজার ৮৮৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এখন বর্ষা মৌসুম হলেও তীব্র গরম, এগরমে মুদি দোকানিরা খোলা পুপার তেলকে সয়াবিন, পার্মওয়েলকে পুপার তেল বানিয়ে বিক্রয় করছেন।ফর্মালিন যুক্ত নানান ধরনের ফল বাজারে বিক্রয় করার প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ভাষ্য, এটি দেখভাল করার দায়িত্ব কৃষি সম্পসারন বিভাগের।কৃষি সম্পসারন বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ সাহাদত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিভিন্ন কথা, কাঁচা ফল পাকানোর জন্য মিথিলীন অথবা কার্বোহাইড্রেট দ্বারা পাকানো হয়। এতে মানবদেহে তেমন ক্ষতিকারক নয়।তবে মেডিসিন বিভাগের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code