৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ছাত্রদল নেতা দাবি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত কে এই মিজান

admin
প্রকাশিত মার্চ ২৪, ২০২৫, ০৬:৪৩ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল নেতা দাবি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত কে এই মিজান

Manual5 Ad Code

ক্রাইম প্রতিবেদক : সিলেট নগরীর শাহপরান থানাধীন বালুচর ৩৬ নং ওয়ার্ডে ত্রাসের রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে ছাত্রদল পরিচয়ধারী মিজান

খোজ নিয়ে জানা যায়, মিজান পরিবারের সবাই আওয়ামিলীগ রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, তাদের আত্মীয় স্বজনেরা আওয়ামিলীগের রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে ছিলেন।

Manual1 Ad Code

এরি মধ্যে একজন সিলেট জেলা সেচ্ছাসেবকলীগে সভাপতি, মেজরটিলা ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীরের আত্মীয় সুবাদে মিজান আওয়ামিলীগ আমলে দাপট দেখিয়ে চলতেন।

মিজানের বাবা টুলটিকর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে আসীন ছিলেন। মিজানের আপন মামা বালুচর আল ইসলাহ নয় নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও টুলটিকর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সহসভাপতি হিসেবে ছিলেন।

তৎকালীন আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে কোনো কিছু তোয়াক্কা না করেই ইয়াবা বিক্রি করে কিশোরগ্যাংদের শেল্টার দিয়ে নিজেকে নেতা ভাবতেন,।

গেলো ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ ইংরেজি সৈরাচার সরকারের পতনের সাথে সাথে মিজান ও তার দলবল রং পাল্টে ফেলে, এবং এলাকায় অশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে, ৫ ই আগষ্ট কিছু নামধারী নেতাদেরই শেল্টারে মিজান, রাজু, স্বপন, শাহজাহান, নাসির,নাহিদ,রুবেন, বাবলু, পাপলু,জাহেদ গংরা এলাকার ভিতরে বেশ কয়টি দোকান ভাংচুর করে নগদ টাকা সহ মালামাল লুট করে এবং মোছাবির ভবনে মিজান নিজে ককটেল মেড়ে ডাকাতি করে নগদ টাকা, সোনা গয়না সহ ৮/৯ লক্ষ্য টাকার মালামাল লুঠ করে।

ক্ষতি গ্রস্ত ব্যাক্তিরা আইনের আশ্রয় নিলে, এলাকার ক্ষতিপয় কিছু নেতারা তাদের গ্রুপ বারি করার জন্য এই মিজান সহ আওয়ামিলীগ পরিবারের অন্যান্য নেতাদেরকে শেল্টার দেওয়া শুরু করেন,।

মিজান সহ তার দল বলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলেও তাতে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে, প্রশাসনের ডিলেডিলা অবস্থায় মিজান এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের ত্রাস সৃষ্টি করে নিজেকে ছাত্রদল নেতা বলে দাবি করছে।

মোছাব্বির ভবনের ডাকাতির ঘটনায়, শফু মিয়া মামলা দায়ের করলেও, স্থানীয় কিছু নামধারী বিএনপি নেতাদেরই শেল্টারে আইনী ব্যবস্তা নিতে পারেইনাই প্রশাসন।

এছাড়া মিজান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে সিলেট বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে, একাধিক মামলার আসামি হয়েও মিজান তার দলবল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়,।

Manual1 Ad Code

মোছাব্বির ভবনে ডাকাতিকালে সিসিটিভি ফুটেজে দেখাগেছে মিজানের নেতৃত্বে ও তার হাতে থাকা ককটেল মোছাব্বির ভবনে ছুড়ে মারছে, ঐদিন তার দলবল নিয়ে মোছাব্বির ভবনে আগ্নে অস্ত্র সহ প্রবেশ করে ভাংচুর করে কয়েক ৮/৯ লক্ষ্য টাকার মামলায় লুঠ করে নিয়ে যায় ।

Manual1 Ad Code

অপরদিকে বালুচর সামী ভেরাইটিজ স্টোরে হামলা করে নগদ টাকা সহ দোকানের মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায় মিজান, রাজু, ও তার দলবলের লোকেরা। এলাকায় আরো জানা যায়, বালুচর ২ নং মসজিদ পয়েন্টে একটি পান দোকানদারের দোকান ভাংচুর করে, ক্যাশ হতে নগদ টাকা সহ দোকানের সিগারেটের কার্টুন লুটপাট করে।

লোকমুখে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সিলেট মহানগর ছাত্রদলে নাকি মিজান সেক্রেটারি হয়ে আসবে। ছাত্রদলের সেক্রেটারি হওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে অর্থনৈতিক লেনদেন করছেন, এবং এলাকার নামধারী নেতাদের সাপোর্ট নিয়ে কিশোর গ্যাংদের দিয়ে ইয়াবা ব্যাবসা সহ নিরব চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code