৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কমলগঞ্জে টিলা কেটে মাটি বিক্রি, ঝুঁকিতে বসতঘর

admin
প্রকাশিত মার্চ ১৬, ২০২৫, ০৮:৫৫ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জে টিলা কেটে মাটি বিক্রি, ঝুঁকিতে বসতঘর

Manual5 Ad Code

জায়েদ আহমেদ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

পাহাড় কেটে চলছে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির কাজ। রাত গভীর হলেই চলে পুরোদমে পাহাড় কাটার কাজ। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে পরিবেশ ও পাহাড়। পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বরচেগ গ্রামে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বেশ কয়েকটি বসতঘর ধসে পড়ার ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

Manual1 Ad Code

গত ১৬ মার্চ সরেজমিনে দেখা গেছে, বরচেগ গ্রামের বাসিন্দা ওয়াতির মিয়া টিলার বেশ কিছু অংশের (আনুমানিক ৫ শতক) কেটে ফেলা হয়েছে। এতে টিলার ওপর ও নিচের অংশের ১০টি বসতঘর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ধারা ৬-এর খ উপধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাহাড় বা টিলা ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও তা কাটতে পারবে না। এই বিধান লঙ্ঘন করে ওয়াতির মিয়া তাঁর টিলা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘ওয়াতির মিয়া দুই সপ্তাহ ধরে শ্রমিক নিয়োগ করে টিলা থেকে মাটি কাটছেন। প্রতিদিন ২-৩টি ট্রাকে টিলার মাটি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়।’

Manual8 Ad Code

স্থানীয় লেবু মিয়া ও তাঁর স্ত্রী রাবিয়া বেগম তাঁদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর দেখিয়ে বলেন, ‘টিলা কাটার ফলে তাঁদের ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ধসে পড়ার আতঙ্কে রাতে তাঁরা অন্য বাড়িতে গিয়ে থাকেন।’

ওয়াতির মিয়া জানান, ‘নিচে ঘর নির্মাণের জন্য তিনি টিলার সামান্য অংশ কেটেছেন। তবে এখন আর টিলা কাটা হচ্ছে না। তিনি জানান, আমি না বুঝে টিলা কেটেছি আর কাটবো না। যেটুকু অংশ কেটেছি তা ভড়াট করে দিব।’

তবে স্থানীয়রা জানান, ‘ওয়াতির মিয়ার টিলা থেকে মাটি কাটা হয়েছে। তিনি নতুন ঘর নির্মান করবেন। কিন্তু এগুলো সরকারি জায়গা। যেভাবে তিনি মাটি কেটেছেন তা ঠিক হয়নি। যেকোনো সময় মাটি ধসে আশেপাশে থাকা মানুষ মারা যেতে পারে। প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

Manual5 Ad Code

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুদ আলী জেলে থাকার কারণে এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কমলগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডি. এম. সাদিক আল শাফিন জানান, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Manual6 Ad Code

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, ‘টিলা কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code