২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আ’লীগ নেতা রেজা মিয়া হীরকের উপর মামলা, গ্রেফতার ৫

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আ’লীগ নেতা রেজা মিয়া হীরকের উপর মামলা, গ্রেফতার ৫

ক্রাইম রিপোর্টার-ছাতক :: ছাতকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম বাদী হয়ে জাউয়াবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের (একাংশ) সভাপতি রেজা মিয়া তালুকদার এবং তার ভাতিজা হিরক মিয়া তালুকদারকে আসামি করে ছাতক থানায় মামলা দায়ের করেন।

এতে ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়।এদিকে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এঘটনায় ৫জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং আসামী ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন সাহেলের উপর সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলা থাকায় তাকে আটক করার জন্য জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালামকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরই মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আসামীর খোঁজে সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দা কামাল আহমদ (২৬) এবং জাউয়াবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ (একাংশ) সভাপতি রেজা মিয়া তালুকদার (৫৫) তার ভাতিজা হিরক মিয়া তালুকদার তাদের দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। এতে পুলিশ সদস্যরা গুরুতর আহত হলে গ্রেফতারকৃত আসামি সাহাব উদ্দিন সাহেল পালিয়ে যান।

অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রেজা মিয়া তালুকদার এবং তার ভাতিজা হিরক মিয়া তালুকদারের নেতৃত্বে জাউয়াবাজারে ব্যাটারিচালিত টমটম থেকে চাঁদা আদায় করা হতো। এবং জোরজবর করে মানুষের দোকানপাট দখলসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো। তাদের নামে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে।

এবিষয় জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সত্তার জানান, এঘটনায় জড়িত ৫ জন আসামীকে আমরা গ্রেফতার করেছি। বাকী আসামীদের ধরতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুস সালাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান পুলিশের উপর হামলায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজর রয়েছে।

Sharing is caring!