 
ডেস্ক রিপোর্ট, রংপুর।
রংপুর সদর উপজেলার ৫ নং খলেয়া ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর খলেয়া (সরদারপাড়া) ৫ নং ওয়ার্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে মজিবরগং।
এ বিষয়ে ১৯ অক্টোবর ২৫ তারিখে ১। মোঃ মাজিবর রহমান (৫৫), পিতা- মৃত তমিজ উদ্দিন,২। মোঃ আব্দুর রহিম (২৫), পিতা- মোঃ মজিবর রহমান, ৩। মোছাঃ ফেন্সি বেগম (৫০) স্বামী মোঃ মজিবর রহমান ৪। মোছাঃ রশিদা বেগম (১৮), পিতা- মোঃ মজিবর রহমান, সকলের গ্রামঃ-উত্তর খলেয়া, সরদারপাড়া থানাঃ গংগাচড়া জেলাঃ রংপুরকে আসামি করে গঙ্গাচড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। যার মামলা নং ২৯।
গত (১৪-১০-২৫) দুপুর দুইটার দিকে উত্তরখলেয়া সরদার পাড়ায় রফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মজিবরগং সামান্য বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ঝগড়া বিবাদ লাগতো। বাদী হাসিনা বলেন, আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুজঁতেছিল।
এরেই ধারাবাহিকতায় মজিবরগং গত ১৪-১০-২৫ ইং তারিখে সামান্য কথা-কাটাকাটি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মজিবর গং দেশীয় অস্ত্র লাঠি, রড, হাসুয়া, কুড়াল, ছোরা ও বটি নিয়ে আমার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমরা গালিগালাজ করতে বাধা করলে, ফেন্সি বেগমের হুকুমে চারিদিক থেকে ঘিরে আসামিগং আমার দুই হাতে চোট মারে একটা হাত পড়ে যায় আরেকটা ঝুলে থাকে। অপরদিকে আমার স্বামীকে এলোপাতারি চোট মারতে থাকলে আমার ছেলে হাসান সেখানে এগিয়ে গেলে মজিবরের লোকজন তাকেও চোট মারে। আমার ছেলে হাসান মাটিতে পড়ে গেলে আসামী।
মোছাঃ রশিদা বেগম আমার ছেলে হাসান মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্য তার বুকের উপর বসে দুই হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ হতে চেষ্টা করে। তখন আমাদের চিৎকার শুনে গ্রামের আশপাশের কয়েকজন প্রতিবেশী এগিয়ে আসে। প্রতিবেশীদের কারণে আমার ছেলে হাসান আর স্বামী রফিকুলসহ আমি হাছিনা বেগম মজিবরগংয়ের কাছ থেকে প্রাণে রক্ষা পাই।
পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আমাদেরকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। আমরা এখানে চিকিৎসাধীন আছি।
আমি চিকিৎসাধীন থাকায় আমার স্বাক্ষরিত এজাহারখানা আমার ছেলে হাসান এর মাধ্যমে  থানায় পাঠিয়ে মামলা দায়ের করি। প্রতিবেশী কোহিনুর বেগম বলেন, আমরা শুনেছি মজিবর শহরে রিকশা চালায়। ঘটনার দিন সামান্য বিষয় নিয়ে রফিকুলের বউ হাছিনার সঙ্গে ফেন্সির ঝগড়া হয়। ফেন্সি ফোন করে মজিবরসহ তার ছেলেমেয়েদেরকে বাসায় ডেকে নিয়ে আসে।
মজিবর নাকি ক্লাবমোড় ট্রাক শাখার পাশে বটি ধার দিয়ে নিয়ে আসছিলো। তারপরে তো সেই বটি দিয়ে এককটা করে গরু জবাই করার মত চোট মারছে। প্রতিবেশি প্রত্যক্ষদর্শী সমছুল বলেন, আমি চিৎকার শুনে এসে দেখি।
মজিবর, ফেন্সি ও তার ছেলে আব্দুর রহিম, মেয়ে রশিদা হাতে কুড়াল, বটি ও ছোরা নিয়ে রফিকুল, হাছিনা আর হাসানের উপর হামলা চালাচ্ছিলো। কিন্তুু তাদের কাছে অস্ত্রগুলো থাকার কারণে আমি সহজে আগাইতে পারি নাই। আমারও তো জীবনে নিরাপত্তা আছে। আমি সহ কয়েকজন চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। আমি তাদের দৃষ্টান্ত শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে ৫ নং খলেয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। খুবেই দু:খজনক ব্যপার। এর আগে এধরনের ঘটনা আমাদের ইউনিয়নে ঘটেনি। এ ধরনের ঘটনা যেই ঘটাক তার আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আল ইমরান জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের ধরার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছি।
	
		Sharing is caring!