২রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪০ কোটি টাকার নদী পুনঃখনন প্রকল্প শুরু

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ণ
ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪০ কোটি টাকার নদী পুনঃখনন প্রকল্প শুরু

Manual8 Ad Code

নিউজ ডেস্ক, (যশোর)

যশোরের মণিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলা নিয়ে গঠিত ভবদহ অঞ্চলের দীর্ঘ চার দশকের জলাবদ্ধতা নিরসনে অবশেষে শুরু হলো পাঁচটি নদী পুনঃখননের কাজ। প্রায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ভবদহের ২১ ভেল্ট স্লুইসগেট এলাকায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।

ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত উপদেষ্টা: এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “ভবদহ অঞ্চলের মানুষের জলাবদ্ধতার দুঃখ দূর করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

ভবদহ জলাবদ্ধতা একটি গভীর সংকট, যার সমাধানে সরকার একাধিক সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণ করেছে।”

৮১.৫ কিলোমিটার নদীপথ পুনঃখনন: প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এই প্রকল্পের আওতায় যশোর ও খুলনা অঞ্চলের মোট ৮১.৫ কিলোমিটার নদীপথ পুনঃখনন করা হবে। নদীগুলো হলো: হরিহর নদী (৩৫ কিমি), হরি-তেলিগাতি নদী (২০ কিমি), আপারভদ্রা নদী (১৮.৫ কিমি), টেকা নদী (৭ কিমি) এবং শ্রী নদী (১ কিমি)।

Manual3 Ad Code

দীর্ঘদিন ধরে নদীগুলোর নাব্য হারিয়ে যাওয়ায় ভবদহ ও এর আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধতার শিকার। পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে লাখো মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই পরিস্থিতি থেকে স্থায়ী মুক্তির লক্ষ্যেই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই নদী পুনঃখনন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

Manual1 Ad Code

আশা জাগিয়েছে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধান: সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

Manual7 Ad Code

তবে, ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতারা কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে নদী খননের পাশাপাশি টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্প বাস্তবায়ন অপরিহার্য বলে মনে করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী আশা প্রকাশ করে বলেন, খনন কাজ শুরু হয়েছে। এই নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলে ভবদহের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে দূর হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মামুন উর রশিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক বিএম আব্দুল মোমিন, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন এবং ভবদহ পানিনিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। যশোর জেলা প্রতিনিধি: নয়ন রায়।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code