বিশেষ প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ করে তিন দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দুই মাস আগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা তীব্র জনঅসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগী ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তার বাবা-মা গাজীপুরের মৌচাকে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন এবং স্থানীয় এক বাসায় ভাড়ায় থাকেন। ওই এলাকাতেই পরিচিত কয়েক যুবক কৌশলে শিশুটিকে অপহরণ করে একটি ভাড়া বাসায় আটকে রাখে। সেখানে তাকে তিন দিন ধরে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা প্রথমে স্থানীয় ভাবে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও অভিযুক্তদের হুমকির কারণে মামলা করতে সাহস পাননি।
পরে স্থানীয় আলেম সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীদের সহায়তায় ভুক্তভোগীর পরিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশ মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। বাকিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
তিনি বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত নৃশংস ও মানবতাবিরোধী। ভুক্তভোগীর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলেছেন, এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো—নারী ও শিশুর নিরাপত্তা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ।
তারা দাবি করেছেন, যৌন সহিংসতার মামলা গুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দ্রুত নিষ্পত্তি করা এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘৃণ্য অপরাধের সাহস না পায়।
Sharing is caring!