৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

উত্তরায় সাংবাদিক আবু হাসান অপহরণ- অদৃশ্য ইশারায় মূল আসামীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা আতঙ্কে পরিবার

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ণ
উত্তরায় সাংবাদিক আবু হাসান অপহরণ- অদৃশ্য ইশারায় মূল আসামীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা আতঙ্কে পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার

রাজধানীর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আবু হাসানকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলার মূল আসামীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুইজনকে গ্রেফতার করলেও মামলার প্রধান আসামী শাহাবুদ্দিন দাবারু ও রবিউল ইসলাম কিং বাবুকে দীর্ঘ চার মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

অপহরণের শিকার সাংবাদিক আবু হাসান জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামীরা বিভিন্ন সময় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন— “আমি বারবার উত্তরা পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল পাইনি। পুলিশ মূল আসামীদের গ্রেফতারে তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।”

তিনি আরও জানান, আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তার পরিবার প্রতিনিয়ত ভয়ের মধ্যে বসবাস করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গী মাজার বস্তির শাহাবুদ্দিন দাবারু ও রবিউল ইসলাম কিং বাবুর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তবুও তারা অদৃশ্য প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আত্মগোপনে থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এ ঘটনায় দেশের সাংবাদিক মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন— “রাজধানীতে একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে অথচ মূল আসামীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য অশনিসংকেত।” তারা দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে সাংবাদিক আবু হাসানকে অপহরণের চেষ্টা চালানো হয়। তার চিৎকারে পুলিশ ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী চক্রের সদস্য ফয়সাল ও ড্রাইভার জামিরুল ইসলামকে আটক করে। এ সময় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়।

ঘটনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা জোনের ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেছিলেন— “চক্রের বাকি সদস্যদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।” কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও মূল দুই আসামী এখনো গ্রেফতার হয়নি।

অপহরণের শিকার সাংবাদিক আবু হাসানের পরিবারের একমাত্র দাবি— “দ্রুত মূল আসামীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”

Sharing is caring!