৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নববধূ গণধর্ষন শিকারের অভিযোগে স্বামীসহ ৭ জনকে আটক করছে পুলিশ

admin
প্রকাশিত আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ণ
নববধূ গণধর্ষন শিকারের অভিযোগে স্বামীসহ ৭ জনকে আটক করছে পুলিশ

বিশেষ প্রতিনিধি।

সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের ওসমানের পাড়া গ্রামে বাসর রাতে নববধূকে গণধর্ষনের অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেছে নববধূুর বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় স্বামী আসিফ মিয়াসহ ৭ জনকে পুলিশ আটক করেছে।

জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের নয়ারহাট মুন্সী পাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দীনের মেয়ে কাকুলি খাতুনের সাথে সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের ওসমানের পাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে আসিফ মিয়ার সাথে বিবাহ হয় । ঐ রাতেই স্বামী ও নববধূকে নিয়ে ওসমানের পাড়া গ্রামে আসে ।

পরের দিন ২৮ আগষ্ট সন্ধ্যায় আবার উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের ওসমানেরপাড়া গ্রাম থেকে নববধূ, স্বামী ও স্বামীর সাথে ৬ জনকে নিয়ে নববধূর বাড়ীতে যায়। সেখানে ঐই রাতে নববধূ ও স্বামীকে আলাদা আলাদা ঘরে রেখে দেয়। এছাড়াও ঐ রাতে স্বামী ও তার সাথে যাওয়া ৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারপিট করেন বলে জানাযায়।

পরের দিন ২৯ আগষ্ট শশুর ও তার লোকজন আসিফসহ তার সাথে যাওয়া ১,মাহিদ বাবু ২, মানিক মিয়া ৩, মমিনুল ইসলাম মিশন ৪, মানিক মিয়া,৫, নয়ন শেখ ৬,মারুফ শেখ ও বর আসিফসহ ৬ জনকে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

৩০ আগষ্ট আসিফে বাড়ীর লোকজন সাঘাটা থানায় এসে আসিফদেরকে অন্যায় ভাবে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আটক রেখেছে বলে অভিযোগ করে ।

পরে, সাঘাটা থানা পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ থানা থেকে আটকৃত ৭ জনকে উদ্ধার করে সাঘাটা থানায় নিয়ে আসে। ঐই দিন ৩০ আগস্ট নববধূর বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আসিফসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ বাদশাহ আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান- এ ঘটনায় নববধূর স্বামী আসিফকে রাতেই গাইবান্ধা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও থানায় আটক আরো ৬ জনের বিষয় তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে সঠিক তথ্য জানানো হবে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানান গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

Sharing is caring!