মিজানুর রহমান মিজান: সুনামগঞ্জ সদর থানাধীন ইনাতনগর গ্রামে গত ৫/৪/২০১৮ ইং তারিখে বড়ভাইয়ের হাতে পুলিশ কনষ্টেবল নিজাম উদ্দিন নিহতের ঘটনায় মাননীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মামলায় অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী আছমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের রায় প্রদান করেছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, বাড়ীর জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দন্ডিত জামাল ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়া ছোট ভাই পুলিশ কনষ্টেবল নিজাম উদ্দিনকে বেদড়ক মারপিট করে হত্যা করে।
এ প্রেক্ষিতে নিহত পুলিশ কনষ্টেবল নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী রুজিনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় দন্ডবিধির ১৪৩/৪৪৭/৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।( মামলা নং জিআর ৮০/১৮), থানা পুলিশ আসামী জামালকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে, দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিগত ২৬/৮/১৮ ইং তারিখে আদালতে চার্জসীট প্রদান করে। ( চার্জসীট নং ১৮৩ ও ১৮৩(ক)।
অপরদিকে প্রভাবশালী আসামীগন মুল ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ও মুল হত্যাকারীকে বাঁচাতে মুল হত্যাকারীর স্ত্রী হত্যামামলার ২ নং আসামী আছমাকে বাদী সাজিয়ে আদালতে পৃথক সিআর মামলা করে ( মামলানং ৩৩০/১৮) উক্ত মামলায় হত্যাকারী হিসাবে অপর ভাই কামাল উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয় সেই সাথে নিহতের স্ত্রী রুজিনা বেগমকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য প্রাননাশক হুমকি দেওয়া হলে তিনি সদর মডেল থানায় জিডি করেন( জিডিনং ৪৭১, তাং ৭/৫/১৯।
আসামীগন বিভিন্নভাবে বাদীনি রোজিনা বেগমকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকলে ও স্বামীর হত্যাকারীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অবুঝ শিশু কন্যাকে আকড়ে ধরে আদালতের বিচারের দিকে থাকিয়ে থাকেন রোজিনা। অবশেষে মাননীয় আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন ঘাতকরা আমার স্বামীকে হত্যা করে আমার সোনার সংসার তছনছ করে দিয়েছে, আমার সন্তানকে এতিম করে দিয়েছে আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করেছিলাম, বাকী বিচারের ভার আমি খোদার নিকট দিয়ে রাখলাম।
আদালতে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট কামাল হোসেন-৩, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতি: পিপি ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: শেরেনুর আলী।
Sharing is caring!