১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মোবাইল ফোনে কথা বলার জেরে ক্ষিপ্ত পিতার দায়ের কোপে কন্যা খুন

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ণ
মোবাইল ফোনে কথা বলার জেরে   ক্ষিপ্ত পিতার দায়ের কোপে  কন্যা খুন

Manual6 Ad Code

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সামাজিক অবক্ষয়ের এক নতুন নমুনা মোবাইল ফোন। এতে আসক্ত হয়েছে যুবক যুবতী, কিশোর কিশোরী এমনকি পরক্রিয়ায় লিপ্ত হচ্ছে অনেকেই।

 

আসক্তির কারণে ধ্বংস হয়েছে অনেক পরিবার।

সাম্প্রতিক কালে সিলেটের একটি রিসোর্সের ঘটনাটি অনেকে ভিন্নভাবে দাবি করছেন, অনেকের দাবি চাঁদা না পেয়ে এলাকার কিছু লোকজন বিএনপি নেতার নেতৃত্বে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

 

৮ তরুণ তরুণীদের আটকে রেখে বিয়ে পরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নাড়া দিয়েছে অভিভাবকদের অন্তরে।

এ ঘটনার পর থেকে সন্তানদের মোবাইল ফোনের কথা বলার বিষয়টি সতর্কতা দেখছেন অভিভাবকরা এমনকি চলাফেরার গতিবিধি ও লক্ষ করছে তারা নিজ দায়িত্ব থেকে।

Manual1 Ad Code

 

 

 

Manual8 Ad Code

এরই বিস্ফোরণ ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুরে বলে মনে করছেন সিলেটের অভিভাবক মহল ও সচেতন মহলের অনেকেই।
যদিও রিসোর্সের ঘটনাটি।

 

হবিগঞ্জের মাধবপুরে পিতার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফোন আলাপে ব্যস্ত থাকায় ক্ষিপ্ত পিতার দায়ের কোপে প্রাণ গেল মেয়ে রানু বেগমকে ( ১৫) এর।

 

খেজুর গাছে কাজ করার ধারালো দা দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মেয়েকে হত্যা করেছে পাষণ্ড পিতা।
বুধবার আড়াইটার দিকে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের ঘনশ্যাম পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক পিতা মঈন উদ্দিনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে।

Manual8 Ad Code

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাসিমনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ জানান,এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

২২-জানুয়ারী দুপুরে রানুকে ফোনে কথা বলতে দেখে পিতা শাসন করে। এক পর্যায়ে রানু বেগম রেগে গিয়ে পিতার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়লে
খেজুর গাছের দাড়ালো দা দিয়ে৷ কোপিয়ে মেয়ে রানু কে হত্যা করে ঘাতক পিতা মঈন।

 

 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক মঈন উদ্দিনকে আটক করেছে।
এখন প্রশ্ন হল যে ছেলের সাথে কথা বলতে গিয়ে পিতার হাতে কন্যা খুন হয়েছে সে কি আসবে আইনের আওতায়?

নিহত রানু বেগমের মা শাহেদা বেগম জানান, ‘মোবাইলে কথা বলার জেরেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমার স্বামী। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

 

এদিকে অভিযুক্ত মঈন উদ্দিন মাধবপুর থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে মেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

মঈন উদ্দিন দু-বছর আগে দুবাই থেকে এসে কৃষি কাজ করতেন। তার ৩ ছেলে ২ মেয়ে রয়েছে।

 

Manual3 Ad Code

ঘটনার খবর পেয়ে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) এ,কে,এম সালিমুল হক। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিদর্শন করেছেন।

 

এ ঘটনা এখন হবিগঞ্জের টক অফ দা টাউন

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code