২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইতালিতে বাংলাদেশি যুবককে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
ইতালিতে বাংলাদেশি যুবককে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ

Manual4 Ad Code

স্বপ্না শিমু স্টাফ রিপোর্টার

ইতালিতে গাড়িচাপায় নাঈম ইসলাম শান্ত নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগ, ছিনতাইকারীরা মালামাল লুট করতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে গাড়িচাপা দিয়ে তাকে হত্যা করেছে।

ইতালিতে নিহত নাঈম ও তার স্বজনদের আহাজারি। রাতে ইতালির নেপোলি শহরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাঈম ইসলাম শান্ত শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মাহমুদপুর এলাকার এনামুল হক মাদবর ও তাজিয়া বেগম দম্পতির ছেলে।

সকালে মৃত্যুর খবর শরীয়তপুরে পৌঁছালে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা বাবা-মা, আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরানোর আশায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তিন বছর আগে দেশ ছাড়েন নাঈম।

Manual2 Ad Code

প্রথমে দুই বছর লিবিয়ায় অবস্থানের পর এক বছর আগে ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছান তিনি। সেখানে নেপোলি শহরের একটি ক্যাম্পে থাকতেন এবং একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন।

পরিবারের হাল ধরতে যখন ধীরে ধীরে স্বপ্ন পূরণের পথে এগোচ্ছিলেন নাঈম, ঠিক তখনই নেমে আসে এই বিপর্যয়। মঙ্গলবার রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিহত হন।

Manual8 Ad Code

নিহতের ভাই বাপ্পি মাদবর বলেন, ‘আমার ভাই কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ওই এলাকার কিছু বখাটে মাঝেমধ্যেই তাকে উত্যক্ত করত।

Manual6 Ad Code

গতকাল রাতে তারাই আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’

নিহতের ছোটবেলার বন্ধু ও চাচাতো ভাই আল-ইমরান অভিযোগ করে বলেন, ‘ইতালিতে কিছু স্থানীয় সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরেই আমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল। শেষ পর্যন্ত তারা তাকে হত্যা করেছে। ভাইকে হারানোর কষ্ট আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহতের বাবা এনামুল হক মাদবর বলেন, ‘আমি শুধু একবার আমার ছেলের মুখটা দেখতে চাই। যেভাবেই হোক সরকার যেন আমার ছেলের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেয়।’

Manual3 Ad Code

এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code