স্বপ্না শিমু স্টাফ রিপোর্টার
মৃত্যুর তিন মাস পর প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানাতে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে আসাম পুলিশ। বিশেষ তদন্ত শেষে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়।
সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিংয়ে রহস্যময় মৃত্যু হয় জুবিন গর্গের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (CJM) আদালতে ৪ ট্রাঙ্ক ভর্তি প্রমাণসহ চার্জশিট জমা দেয়া হয়। ৪টি ট্রাঙ্কেই ছিল মামলা সংক্রান্ত সমস্ত প্রমাণ। তবে কড়া নিরাপত্তায় আনা ৪টি ট্রাঙ্কে প্রমাণ হিসেবে কী কী ছিল তা এখনও জানা যায়নি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ভারতীয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গ। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রথমে জানানো হয় সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনি মারা যান।
তবে সময় গড়াতেই সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসে গায়কের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আইনি প্রক্রিয়ায় প্রথমে ফৌজদারি ষড়যন্ত্র এবং অবহেলার কারণে মৃত্যু-এই দুই ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে এতে যুক্ত হয় খুনের অভিযোগও।
আসাম সরকার গায়কের মৃত্যুর তদন্তের জন্য ডিজিপি এমপি গুপ্তার নেতৃত্বে এসআইটি গঠন করে। এখন পর্যন্ত জুবিন হত্যা মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরা হলেন সিঙ্গাপুর উৎসবের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, জুবিনের চাচাতো ভাই ও আসাম পুলিশ সার্ভিসের অফিসার সন্দীপন গর্গ, ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী, ব্যান্ড সদস্য অমৃতপ্রভা মহন্ত, জুবিনের দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী পরেশ বৈশ্য এবং নন্দেশ্বর বোরা।
৪০টিরও বেশি ভাষায় গান গাইতে পারতেন ভারতীয় এ সংগীতশিল্পী। শুধু গান নয়, বাদ্যযন্ত্র বাজাতেও পারদর্শী ছিলেন। তবলা থেকে শুরু করে গিটার, ড্রাম, হারমোনিয়াম, দোতারা, ঢোল, ম্যান্ডোলিন, হারমোনিয়াম-সহ ১২টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জুবিন ক্যারিয়ারে ২০,০০০ থেকেও বেশি গান গেয়েছেন। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ সিনেমার ‘ঢাকার পোলা’ , ‘কৃশ থ্রি’ সিনেমার ‘দিল তুহি বাতা’, ‘পরাণ যায় জলিয়ারে’ সিনেমার ‘চোখের জলে’, ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার ‘ইয়া আলি’, ‘পাগলু টু’ সিনেমার ‘খুদা জানে’ ইত্যাদি।
Sharing is caring!