১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও থাইল্যান্ড বোমাবর্ষণ করছে, অভিযোগ কম্বোডিয়ার

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ণ
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও থাইল্যান্ড বোমাবর্ষণ করছে, অভিযোগ কম্বোডিয়ার

Manual8 Ad Code

স্বপ্না শিমু স্টাফ রিপোর্টার

Manual1 Ad Code

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই থাইল্যান্ড বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে কম্বোডিয়া।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নতুন করে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

Manual6 Ad Code

স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘১৩ ডিসেম্বর থাই সামরিক বাহিনী দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বিভ্ন্নি লক্ষ্যবস্তুতে সাতটি বোমা নিক্ষেপ করেছে।’
হোটেল ও সেতুর ওপর বিমান হামলার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘থাই বাহিনী এখনো বোমাবর্ষণ বন্ধ করেনি; হামলা অব্যাহত রয়েছে।’

শুক্রবার থেকেই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরই থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে কম্বোডিয়া এ অভিযোগ জানালো।
এর আগে ট্রাম্প থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।

Manual2 Ad Code

ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেন, ‘তারা (থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী) আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। মালয়েশিয়ার দুর্দান্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় প্রস্তুত করা যে শান্তি চুক্তিতে আমার এবং তাদের দুজনের সই রয়েছে, সেটায় ফিরে যাচ্ছেন তারা।’
তবে কম্বোডিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের হামলা চলতে থাকায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সহিংসতা এখন ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে।

গত সোমবার ‍শুরু হওয়া এই সংঘাতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশ দুটির বিরোধপূর্ণ সীমান্তের দুপাশে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে গত জুলাইয়ে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ ও মালয়েশিয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়। থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তাদের বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code