স্বপ্না শিমু স্টাফ রিপোর্টার
মানবাধিকার রক্ষায় শুধু আইন নয়, প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়নও জরুরি বলে অভিমত তিন উপদেষ্টার।
রাজধানীতে মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে তারা বলেন, রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। তবে পুলিশ কমিশন সংস্কার করতে না পারাকে অন্যতম ব্যর্থতা হিসেবেও চিহ্নিত করেন তারা। প্রত্যাশা করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে দেশ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ‘সবার জন্য ন্যায়বিচার ও অগ্রাধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিন উপদেষ্টার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান অ্যালবার্তো জিওভানতি বক্তব্য দেন।
তাদের প্রত্যাশা, নির্বাচিত সংসদ নতুন মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন করে সাংবিধানিক ভিত্তি দেবে। কাগজে লেখা নীতি যথেষ্ট নয়-কার্যকর বাস্তবায়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর কেন্দ্রে রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সংস্কারের নতুন অধ্যাদেশ।
আমরা মনে করি, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এই কমিশনের আইনি ভিত্তি দেবে। মানবাধিকার সুরক্ষা এবং বিচারপ্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিতে সাম্প্রতিক যে আইনগত, নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার হয়েছে; সেগুলো পর্যালোচনা জরুরি
। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পথে বাংলাদেশের এই যাত্রায় মানবাধিকার-সম্মত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে দেশ।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বক্তারা বলেন, সরকার আইন করলেও প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়ন না হলে মানবাধিকার রক্ষা করা কঠিন।
Sharing is caring!