২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পুলিশ এলেই পালায় ‘ইয়াবা সম্রাট’ নান্টু লাল!

admin
প্রকাশিত মে ৯, ২০২৫, ০৬:২৩ অপরাহ্ণ
পুলিশ এলেই পালায় ‘ইয়াবা সম্রাট’ নান্টু লাল!

দক্ষিণ সুরমায় গোপন অভিযানে ২৪০ পুঁড়িয়া গাঁজা ও ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

পলাতক আসামির বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা

সিলেট সদর প্রতিনিধি, ক্রাইম রিপোর্ট

সিলেট দক্ষিণ সুরমার সুইপার কলোনিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ি। অভিযুক্ত নান্টু লাল (৩৫) পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৮ মে ২০২৫, রাত আনুমানিক ১০:১৫ ঘটিকায় দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (নি:) সুমন চক্রবর্তী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, সুইপার কলোনি এলাকায় নান্টু লাল তার নিজ বাসভবনে মাদক বিক্রি করছে।

তাৎক্ষণিকভাবে সঙ্গীয় অফিসার ও গ্রেফতারি পরোয়ানা বহনকারী ডিউটি ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে রাত ১০:২৫ মিনিটে বাবনা পয়েন্টে অবস্থান গ্রহণ করে পুলিশ দল। পরবর্তীতে আসামির বাড়িতে পৌঁছেই দেখা যায়, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নান্টু লাল কৌশলে পালিয়ে যায়।

তবে তার খাটের শিয়রের নিচে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়:

২৪০ পুঁড়িয়া গাঁজা (ওজন: ৪৬০ গ্রাম, আনুমানিক মূল্য ১২,০০০ টাকা)

২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (ওজন: ২ গ্রাম, মূল্য ৬,০০০ টাকা)

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তিনজন স্বতঃস্ফূর্ত সাক্ষী:
১. দিলওয়ার (২৪), পিতা: আবুল হোসেন, স্থায়ী ঠিকানা: চনগাঁও, কুমিল্লা, বর্তমান: ভার্তখলা, দক্ষিণ সুরমা
২. রাজন মিয়া (২৭), পিতা: বাছেদ মিয়া, স্থায়ী ঠিকানা: রায়পুর, নরসিংদী, বর্তমান: ভার্তখলা, দক্ষিণ সুরমা
৩. কনস্টেবল বেলাল আহমদ, আইডি: BP-9515174255, কর্মস্থল: দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ি

উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের দেহ তল্লাশি শেষে অভিযুক্তের ঘরে প্রবেশ করে মাদকদ্রব্য জব্দ করেন। রাত ১০:৪০ মিনিটে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ আলোতে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণপূর্বক আলামত হেফাজতে নেওয়া হয়।

পলাতক নান্টু লাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদক নিজের হেফাজতে রাখায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬(১) টেবিল (১৯)(ক)/১০(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুমন চক্রবর্তী বলেন,

> “আসামিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

Sharing is caring!