১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কঠিন সময় পার করে নেইমার জানালেন–‘এবার শেষ মিশন

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
কঠিন সময় পার করে নেইমার জানালেন–‘এবার শেষ মিশন

Manual7 Ad Code

স্বপ্না শিমু ,স্টাফ রিপোর্টার

গত জানুয়ারিতে নেইমার আল হিলালের সঙ্গে চুক্তির ইতি টেনে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফেরেন। সৌদি আরবে দুই বছর টানা ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে ঘরে ফিরে হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান

Manual2 Ad Code

। ভক্ত-সমর্থকও ব্রাজিলের স্বপ্নসারথিকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল আগামী বিশ্বকাপ সামনে রেখে। কিন্তু সান্তোসে তার ফেরাটা স্বপ্নের মতো হয়নি। ব্রাজিলের ক্লাবটিতেও একের পর এক চোট ভোগাচ্ছে নেইমারকে। সান্তোসের হয়ে কঠিন মৌসুম শেষ করে নেইমারের চোখ এখন বিশ্বকাপে।

২০২৫ সালের শুরুতে সান্তোসে ফেরার পর থেকে নেইমার চারবার চোটে পড়েছেন। এছাড়া শৃঙ্খলা ইস্যু তো ছিলই। চোট আর এসব কারণ মিলিয়ে লিগের ৩৮ ম্যাচের ১৮টিই মিস করতে হয়েছে তাকে।

তবুও নেইমার পরিস্থিতি বদলে দেন—দলকে অবনমন থেকে বাঁচান, সমালোচনাকে করতালিতে রূপান্তর করেন। সান্তোসকে অবনমন থেকে বাঁচানোর পর নেইমার জানিয়েছেন, এসব কঠোর সমালোচনা তাকে কীভাবে মানসিকভাবে কাবু করে দিয়েছিল।

দুই মাসের মতো সময় চোটে বাইরে থাকার পর গত ৯ নভেম্বর ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে সান্তোসের হয়ে আবারও একাদশে ফিরেছিলেন নেইমার। তবে তিনি প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে পারেননি; পুরো ম্যাচে মাত্র দুটি অন-টার্গেট শট নিতে পেরেছিলেন এবং ম্যাচের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে তাকে বদলি করে নেওয়া হয়।

Manual5 Ad Code

এরপরই ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন, যা তার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলে এবং তাকে সহায়তা নিতে বাধ্য করে। ক্রুজেইরোর বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচের পর নেইমার বলেন, ‘আমি স্বীকার করি, গত কয়েক সপ্তাহ খুব কঠিন ছিল। ফ্লামেঙ্গোর ম্যাচের পর আমি প্রচুর সমালোচনার শিকার হই।

আমার মনে হয়েছে, সমালোচনাগুলো একটু বেশি দূরেই চলে গিয়েছিল… জীবনে প্রথমবার আমাকে সাহায্য চাইতে হয়েছে। আমার মানসিক অবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। নিজের শক্তি দিয়ে আর উঠতে পারছিলাম না। তখন আমার কোচ, সতীর্থ এবং পরিবার আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছে।’

Manual6 Ad Code

মনস্তাত্ত্বিক লড়াই জয়ের পাশাপাশি নেইমার দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বাঁচিয়েছেন। পুরোপুরি সুস্থ না হয়েও সান্তোসের শেষ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলেছেন তিনি। সেই তিন ম্যাচে চার গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করে সমালোচকদের চুপ করিয়ে দেন এবং নিজের ক্লাস আবারও প্রমাণ করেন। পুরো মৌসুম জুড়ে লড়াই করে সান্তোস শুধু অবনমন এড়ায়নি, বরং নেইমারের শেষ দিকের দুর্দান্ত ফর্মের কারণে কোপা সুদামেরিকানার টিকিটও নিশ্চিত করেছে।

Manual5 Ad Code

মৌসুম শেষ হলেও নেইমারের মাথায় এখন অফসিজন পরিকল্পনা। খুব স্পষ্ট দু’টি লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছেন তিনি। জিইটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, ‘এখন বছরটা শেষ করছি। আমি একটু মাথা পরিষ্কার করতে চাই।

প্রায় দশ দিন ফুটবল ভুলে থাকব… এরপর যে সার্জারিটা দরকার, তা করাব… তার আগে ছুটি দরকার, কারণ অপারেশনের পর আমাকে শতভাগ মনোযোগ দিতে হবে। কয়েক দিন শুধু মানসিকভাবে রিল্যাক্স করব, কারণ বছরটা খুব কঠিন গেছে, মাসটাও খুব কঠিন ছিল। এরপর পুরো মনোযোগ দেব শেষ মিশনে: বিশ্বকাপ।’

ইএসপিএনের আগের প্রতিবেদনের মতোই নেইমার নিশ্চিত করেছেন, শারীরিক অবস্থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে বাঁ হাঁটুর অস্ত্রোপচারই তার অগ্রাধিকার। যদিও তিনি অপারেশনের নির্দিষ্ট বিবরণ প্রকাশ করেননি, ধারণা করা হচ্ছে তার মেনিসকাস সার্জারি হবে।

এর মাধ্যমে তিনি ফিটনেস ফিরিয়ে এনে ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলে জায়গা পেতে কার্লো আনচেলত্তির নজরে আবারও আসতে চান এবং দীর্ঘমেয়াদি ফিটনেস ধরে রাখার দিকে মনোযোগ দেবেন।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code