স্বপ্না শিমু স্টাফ রিপোর্টার
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনে খরচ দেয়া উচিত ইসরাইল ও তার প্রধান মিত্রদের। শুক্রবার লন্ডনে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ।
গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা। এর ২৩ লাখ জনসংখ্যার ২০ লাখই এখন উদ্বাস্তু হয়ে খোলা ময়দানে আশ্রয় নিয়েছে। হতাহত হয়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ।
নজিরবিহীন এই ধ্বংসযজ্ঞের জন্য জবাবদিহিতার দাবি জানিয়ে অনুষ্ঠানে আলবানিজ বলেন, ইসরাইলের উচিত যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইতালির সঙ্গে গাজা পুনর্গঠনের জন্য অর্থ প্রদান করা। এসব দেশ ইসরাইলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে।
আরও বলেন, ইসরাইলের পাশাপাশি গাজা গণহত্যায় সহায়তাকারী সকল দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, গাজায় গণহত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব রাষ্ট্রকে অবশ্যই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, বেআইনি দখলদারিত্ব বজায় রাখা রাষ্ট্রকে সহায়তা এবং সহায়তা দেয়া বন্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সাইপ্রাসের ঘাঁটি থেকে ইসরাইলে সরবরাহ করা পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে এই গণহত্যার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের জড়িত থাকার বিষয়ে একটি শক্তিশালী তদন্ত হওয়া উচিত। আরও বলেন, গাজায় দুই বছরের গণহত্যা ‘৬০ বছরের দায়মুক্তির সংমিশ্রণ’।
তার মতে, ইসরাইলের বিষয়ে লন্ডন, রোম, বার্লিন বা প্যারিসের মনোভাব পরিবর্তন না হলে এই গণহত্যা থামবে না।
এদিকে শীতকালীন ঝড় বাইরনের প্রভাবে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শরণার্থীদের তাঁবু, ভিজে গেছে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী।
খান ইউনিসসহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁবুর ভেতর হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। এতে শিশুসহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Sharing is caring!