স্বপ্না শিমু স্টাফ রিপোর্টার
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইলের সিকিউরিটি ক্যাবিনেট বা নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
ইসরাইলের চরম ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের সঙ্গে যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে বলেছন, এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হলো ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ঠেকানো’।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ বলে বিবেচিত।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। আর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরাইলের ‘নিরবচ্ছিন্ন’ বসতি সম্প্রসারণ সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের সেখানে প্রবেশ সীমিত করছে এবং একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম তীরে সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, বসতি সম্প্রসারণ ইসরাইলের দখল আরও পাকাপোক্ত করবে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান দুর্বল হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা আছে।
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান অনুযায়ী, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকাকে নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। তবে বর্তমান ইসরাইলি সরকার এই ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসরাইল সরকার নতুন বসতি অনুমোদনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বসতি সম্প্রসারণ ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। নতুন অনুমোদিত বসতিগুলোর মধ্যে গানিম ও কাদিম নামে দুটি বসতি রয়েছে, যেগুলো প্রায় ২০ বছর আগে ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
চলতি বছরের মে মাসে ইসরাইল পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন বসতি স্থাপন অনুমোদন করে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্প্রসারণ হিসেবে বিবেচিত।
পর্যবেক্ষণ সংস্থা পিস নাও–এর তথ্যমতে, বর্তমানে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ৭ লাখ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে।
এদিকে, বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে আরব দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
তারা বলছে, এই নীতি শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং পশ্চিম তীর সংযুক্ত (অ্যানেক্সেশন) হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।
র আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, পশ্চিম তীর আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত করা হলে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারাতে পারে।
Sharing is caring!