স্বপ্না শিমু স্টাফ রিপোর্টার
৬ মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে সর্বনিম্ন দৈনিক লেনদেন দেখলো ঢাকার পুঁজিবাজার। যদিও বেড়েছে বাজার মূলধন ও প্রধান সূচক। এসময়ে তালিকাভুক্ত ২১ খাতের মধ্যে ১২টিতেই কমেছে দৈনিক গড় লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে দাম বৃদ্ধিতে আধিপত্য ছিল জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির। সবমিলিয়ে সপ্তাহ ব্যবধানে শেয়ারশূন্য বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে দুই হাজারের বেশি।
চলতি বছরের ২২ জুন ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ২৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এরপর উত্থান পতনে সময় পার করলেও গত সপ্তাহের প্রথম দিন তার থেকেও কম লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে। লেনদেন হয়েছে ২৬৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যদিও পরের চারদিনও ওঠানামার মধ্যে শেষ কার্যদিবস হাত বদল হয় ৪৬৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার।
দৈনিক লেনদেনে অস্থিরভাবের মধ্যেই সপ্তাহ শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা; প্রধান সূচকে যোগ হয়েছে ৭৭ পয়েন্ট ২৬ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক লেনদেনের চিত্রে দেখা যাচ্ছে, তালিকাভুক্ত ২১ খাতের মধ্যে বন্ড, আর্থিক খাত, সিরামিক ও পাটসহ ১২টিতেই কমেছে দৈনিক গড় লেনদেন। তবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যাংক ও টেলিকম খাত।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানি বাছাইয়ে গত সপ্তাহেও জেড ক্যাটাগরি প্রতিষ্ঠানই ছিলো এগিয়ে। দাম বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৬টিই এই ক্যাটাগরির। যদিও এর আগের দুই সপ্তাহে ১০টির মধ্যেই ৮ ও ১০টি-ই ছিল জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির দখলে। আর দাম কমতিতে শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে ৬টি ছিলো সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ‘এ’ ক্যাটাগরির।
পুঁজিবাজারের হিসাব রক্ষাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলের তথ্য, গত সপ্তাহে শেয়ারশূন্য বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে ২১৭৪টি। অর্থাৎ লেনদেনে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
Sharing is caring!