
বিশেষ প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
শনিবার ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখ ভোর রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মোঃ সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এতে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ‘ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে যেতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করে।
সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের দুইজনকে পিটিয়ে ও ঢিল ছুঁড়ে আহত করে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা করে নুরাল পাগলের বাড়ি ও দরবারের গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ভবন ও দরবার শরীফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘নুরাল পাগলার’ দরবারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এতে ৩ থেকে ৩৫০০ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
Sharing is caring!