১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রোজায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গরুর মাংস ৬৫০ ও মুরগি ২৫০ টাকায় বিক্রি করবে

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৯:২৯ অপরাহ্ণ
রোজায়  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গরুর মাংস ৬৫০ ও মুরগি ২৫০ টাকায় বিক্রি করবে

Manual1 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:

Manual2 Ad Code

পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কম দামে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার। এর মধ্যে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ ও গরুর মাংস বিক্রি করা হবে ৬৫০ টাকায়। এছাড়া ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হবে ১১৪ টাকায়।

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘আসন্ন রমজান মাসে কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম এবং বিগত ৬ মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ কথা বলেন।

Manual5 Ad Code

উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসে প্রথম দিন থেকে রাজধানীর ২৫টি স্থানসহ সারা দেশে ‘সুলভ মূল্যে’ গরু, খাসি, মুরগির মাংস এবং ডিম ও দুধ বিক্রি করবে সরকার। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ বারিধারা আবাসিক এলাকা (ডিআইটি প্রজেক্ট), মেরুল বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে রোজাকে সামনে রেখে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা আরও বলেন, রমজান মাসে মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য ১ থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত ঢাকা শহরে ড্রেসড ব্রয়লার, ডিম, পাস্তুরিত দুধ, গরুর মাংস এবং সারা দেশে ব্রয়লার, ডিম, পাস্তুরিত দুধ, গরুর মাংস ও খাসির মাংস সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

রোজায় ড্রেসড ব্রয়লার মুরগির মাংস প্রতিকেজি ২৫০ টাকায়, পাস্তুরিত দুধ লিটারপ্রতি ৮০ টাকা, ডিম ডজনপ্রতি ১১৪ টাকা, গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০ হাজার পিস ডিম, ছয় হাজার লিটার পাস্তুরিত দুধ, দুই হাজার কেজি ড্রেসড ব্রয়লার এবং দুই থেকে আড়াই হাজার কেজি গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Manual2 Ad Code

উপদেষ্টা বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় যেসব স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে সুলভ মূল্যের এসব পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর বস্তি এলাকায় বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আয়োজনে রাজধানী ছাড়াও দেশব্যাপী জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সমন্বয়ে রোজার মাসে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রান্তিক খামারিদের সম্পৃক্ত করে বিপণন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ঠিক করে দেওয়া নির্ধারিত স্থানে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ঢাকার যেসব স্থানে বিক্রি হবে:

সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড), খামারবাড়ি (ফার্মগেট), ষাটফুট রোড (মিরপুর), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা), বনশ্রী, হাজারীবাগ (সেকশন), আরামবাগ (মতিঝিল), কড়াইল বস্তি (বনানী), কামরাঙ্গীরচর চর, খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), নাখাল পাড়া (লুকাস মোড়), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), বসিলা (মোহাম্মদপুর), উত্তরা (হাউস বিল্ডিং), রামপুরা (বাজার), মোহাম্মদপুর (বাবর রোড), কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিক নগর গলির মুখে), শাহাজাদপুর (বাড্ডা), মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) এবং কাকরাইল।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code