১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে গণমাধ্যমকর্মীকে আসামি বানিয়ে মামলা

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ণ
উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে গণমাধ্যমকর্মীকে আসামি বানিয়ে মামলা

Manual5 Ad Code

রংপুরের মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানাধীন বিহারী গ্রামে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমার বিরোধ  ও ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করার বিষয় নিয়ে ভাই ভাতিজাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি ঘটনা ঘটে। দুই জন আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল ভর্তি হয়।

এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে “জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার” পত্রিকার রংপুর মহানগর প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে পক্ষ বানিয়ে  উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হয়রানী মুলক মামলায় জরিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, গত ৫ই ডিসেম্বর ২৫ ইং সকাল ৮ টার সময় পাভেল নামে এক ব্যক্তি আমাকে  এসে খবর দেয় কবিরাজের বাড়ীর সামনের মাঠে ভাই ভাতিজার মধ্যে জমিজমা ও কবিরাজের নামে ভন্ডামী বন্ধ করা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া লেগেছে। খবর শুনে আমি সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি মোবারক কবিরাজ তার বড়ভাই শাহজানের অন্ডোকোশ চিপে ধরে টানা হেঁছরা করছে।

Manual5 Ad Code

মোবারকের ছেলে সাজ্জাদুল হোসেন সুজন আলু রোপনের লাঙ্গল দিয়ে রহিম চৌধুরী’র মাথায় আঘাত করতেছে। আর এক ছেলে। সজল বাশের লাঠী দিয়ে সরোয়ার চৌধুরীর মুখে গুতা মারলে, কিছুক্ষনের মধ্যেই শাহজান অজ্ঞান হয়ে পড়ে দেখতে পেয়ে  আমার ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা শুরু করি।

Manual4 Ad Code

আমাকে ভিডিও করতে দেখে মোবারক ও তার দুই ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাতে থাকা ডিএসএলআর ক্যানোন ইওএস ৩০০০ ডি ১৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাটি তিনজনে মিলে কেরে নেয় এবং ভেংগে ফেলে এবং আমার উপর চড়াও হয় এতে আমার বাম হাতের একটি আংগুল ভেংগে দেয় এবং হুমকি দেয় যে তোর নামেও মামলা করে তোর সাংবাদিকতা বের করে দেবো।

ক্যমেরাটি নষ্ট করাতে ভিডিও ডকুমেন্ট গুলোও নষ্ট হয়ে যায়। তবেপাশে থাকা একজনের মোবাইলে ছবি তোলা ছিলো তাহার কাছ থেকে ধারন করা কিছু ছবি সংরক্ষণ করেছি।

ঘঠনার দুই দিন পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৯ই ডিসেম্বর সাংবাদিক আমি জানতে পারে আমাকে ২ নং আসামী করে মোট ৮ জনকে বিবাদী দেখিয়ে মোবারক কবিরাজের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম সুজন মাহীগঞ্জ মেট্রো থানায় একটি মামলা দায়ের করে যাহার নং-২/৭৮। পরে আমি সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ আদালতের কাছে জামীনের আবেদন করি। জামীন মঞ্জুর হয়েছে।

পরে মাহীগঞ্জ মেট্রো থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর সাথে দেখা করে মামলার বিষটি নিয়ে কথা বার্তা বলি। এ বিষয়ে,মাহি গঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে,সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মূলত এলাকাবাসী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষ জন ও মামলার সাক্ষিগনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাংবাদিক জাহিদুল ও বাকি ৭ সাত জনকে উদ্দেশ্য প্রণদিত ভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

বিশেষ করে সাংবাদিক তো ঐ ঝগড়া’র সময় তত্ত্ব সংগ্রহ করতে গেছে,তার নামে মামলা কি করে হবে। সাংবাদিক ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করতে বলাতে হয়ত তাকে এই মামলায় তাহার ভাতিজা জরিয়েছে বলে মনে হয়।

মামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মামলার সাক্ষী কপিল উদ্দিন ও লাল মিয়া বলেন, আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে যতোটুকু জানি মামলার বাদীর চাচা জ্যাঠারা সাতভাই দুই বোন, ৮ জনেই চায় মোবারকের ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করতে আর জমিজমা তো বন্টন দলিল মুলে সবাই সমান সমান ভাগ করে নিয়েছে।

আসলে যে জমি নিয়া সমস্যা সে জমি তো নামজারী ও বন্টন দলিল মুলে সরোয়ার চৌধুরীর। আসল ঘটনা হলো মোবারক কবিরাজ তাহার ভন্ড কবিরাজী বন্ধ হবে বলে এই ঝগড়ার সুত্রপাত ঘঠায়। জমি জমা এখানে কোন বিষয় না।

কারন মোবারক কবিরাজের ইতিপূর্বে অনেক নারী কেলেঙ্কারি এমনকি পশু বলাৎকার কেলেঙ্কারির মতো অনেক ঘঠনাও ঘঠিয়েছে তাই এলাকার লোক তাহাকে ভন্ড কবিরাজ হিসেবে চেনে ও জানে তাই তাহার সাথে কেউ তেমন একটা মিশে না। আমাদেরকে সে আমাদের অগোচরে এই মামলার সাক্ষি বানিয়েছে ঘঠনা সম্পুর্ন ভুয়া,মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা,বিষয়টিকে নিয়ে মোবারক ও তাহার বখাটে দুই ছেলে বাড়াবারী করতেছে।

Manual8 Ad Code

এ বিষয়ে মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, মামলা যে কারো নামে হতে পারে।

Manual5 Ad Code

ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়া গেলে চার্জশিট থেকে অটোমেটিক নাম বাদ যাবে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code