১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

তৈরি পোশাক রফতানি যুক্তরাষ্ট্রে বাড়লেও ইউরোপ-অপ্রচলিত বাজারে পিছিয়ে বাংলাদেশ

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
তৈরি পোশাক রফতানি যুক্তরাষ্ট্রে বাড়লেও ইউরোপ-অপ্রচলিত বাজারে পিছিয়ে বাংলাদেশ

Manual2 Ad Code

স্বপ্না শিমু স্টাফ রিপোর্টার

ট্রাম্প প্রশাসনের ট্যারিফ জটিলতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রফতানি বাড়িয়েছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসাবে রফতানি হয়েছে সাড়ে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। তবে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় সমান তালে রফতানি বাড়লেও চীন-ভারতের আধিপত্যে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে ইউরোপের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়লেও ইউরোপ-অপ্রচলিত বাজারে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

Manual2 Ad Code

চরম অনিশ্চয়তায় শুরু করা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মাঝামাঝিতে এসে অনেকটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের ট্যারিফ জটিলতার কারণে আটকে যাওয়া অর্ডারগুলো আবারও ফিরে আসায় বেড়েছে রফতানি আয়। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হয়েছে ৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক। যা আগের অর্থ বছরের এই সময়ে ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Manual1 Ad Code

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ট্যারিফের সমন্বয় হয়ে যাওয়ার পরে ক্রেতারা আবারও নতুন করে অর্ডার দিচ্ছে। আগামীতে এই প্রবণতা আরও বাড়বে। তবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ট্যারিফের পাশাপাশি খরচ কমাতে উদ্যোগী হতে হবে।

Manual6 Ad Code

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হলেও চীন-ভারতের আধিপত্যের কারণে ইউরোপের বাজারে রফতানি আয় কিছুটা কমে গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে ৭ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে চলতি অর্থ বছরে রফতানি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।

একইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান-রাশিয়া-তুরস্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মতো অপ্রচলিত বাজারেও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে।
বিজিএমইএর পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, অপ্রচলিত বাজারে গত বছর যেখানে ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল, সেটি কমে এখন ১০ শতাংশের মধ্যে চলে এসেছে। ইউরোপের বাজারটাও ধরে ফেলছে চীন-ভারত।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের বাজারে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসাবে ১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন এবং ৬ দশমিক ৫১ প্রবৃদ্ধিতে কানাডায় ৫৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে আয় বাড়িয়েছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। তবে কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক হার বেশি হওয়ার কারণে ভারত, চীন ও ভিয়েতনামের প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠছে বলে মত এই বিজিএমইএ নেতার। এমনকি অনেক বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান কম মূল্যে তৈরি পোশাক কেনার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

বিজিএমইএর পরিচালক এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমেরিকা ট্যারিফ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপের ক্রেতারাও দাম কম দেয়ার জন্য চাপাচাপি করছেন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য পারিপার্শ্বিক ব্যয়গুলো কমাতে হবে। পলিসি সাপোর্ট দিতে হবে সরকারকেও।

Manual2 Ad Code

২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের ৩৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি আয়ের মধ্যে একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আদায় করা হয়। চীন এবং ভারতের ক্ষেত্রে তা আরও অনেক বেশি।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code