ডেস্ক রিপোর্ট, রংপুর
সাত সংস্থা, এডিসি ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা! প্রেসক্লাবে ১০৫ সদস্য অন্তর্ভুক্তিতে মারাত্মক বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ রংপুর প্রেসক্লাবে সাম্প্রতিক সদস্য অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়াকে ঘিরে ফের তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের জোরালো দাবির পর প্রেসক্লাব উন্মুক্ত ঘোষণা করা হলেও, বাস্তবে সেই প্রক্রিয়ায় পুনরায় বৈষম্য, কারসাজি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ১০৫ জন নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে অপসাংবাদিক, ভুয়া পরিচয়ধারী এবং দৈত পেশার ব্যক্তিদের বড় একটি অংশকে সদস্যপদ প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, অন্তর্ভুক্তদের অন্তত ৬০ শতাংশের সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে কোনো সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই এবং তারা কোনো স্বীকৃত গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেননি।
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, আসন্ন প্রেসক্লাব রংপুরের নির্বাচনে ভোটের হিসাব মিলাতে একটি প্রভাবশালী চক্র প্রায় ৩৫ জন ভুয়া সাংবাদিককে সদস্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই অন্তর্ভুক্তিতে প্রশাসকের প্রত্যক্ষ সহায়তা ছিল, যা প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলে।
বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সদস্য যাচাইয়ের নামে গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিজিএফআই-এর তথাকথিত “জাস্টিফিকেশন রিপোর্ট” ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকৃত সাংবাদিকদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
এতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রশাসন ও এডিসি পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
বিশ্লেষক মহল মনে করছে, প্রেসক্লাবের এই সদস্য অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়ার আড়ালে একটি প্রভাবশালী কুচক্রী মহল সক্রিয় ভাবে কাজ করে গেছে। তাদের লক্ষ্য— প্রকৃত সাংবাদিকদের কোণঠাসা করে প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়া।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের সকল সদস্যরা বলেন, “প্রকৃত সাংবাদিকদের ওপর অন্যায়, বৈষম্য ও প্রশাসনিক কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া হবে। বৈষম্যের জাল ছিঁড়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
Sharing is caring!