ডেস্ক রিপোর্ট
বনবিভাগের আওতায়,বিগত ২০২০-২১ অর্থবছর হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত চরকাই রেঞ্জের অধীন হরিপুর বিটে ৮৫ হেক্টর জমিতে সুফল প্রকল্পের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ দ্বারা সৃষ্ট বাগানগুলোর গুনগত মান উল্লেখযোগ্য।
বর্তমান সরকার ২০২৫ সালে প্রজ্ঞাপন জারি পূর্বক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা রোপণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সেই আলোকে চরকাই রেঞ্জের অধীন নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর বিটে শুধুমাত্র দেশীয় গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হরিপুর বিটের সাবেক বিট কর্মকর্তা ও বর্তমানে ডেপুটি রেঞ্জার পদে কর্মরত শামসুল আলম জানান, দেশী গাছ দ্রুতবর্ধনশীল না হওয়ায় ও গবাদিপশুর প্রিয়খাদ্য হওয়ায় দেশী গাছের বাগান করা কষ্টসাধ্য। কিন্তু তার আন্তরিক প্রচেষ্টায়,নানা প্রতিকুলতা অতিক্রম করে সুফল প্রকল্পের ৮৫ হেক্টর বাগান ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯.৫০ হেক্টর দেশীয় গাছের বাগান করা হয়েছে।
এসব বাগানে বিরল প্রজাতির পারুল গাছ, জারুল সহ ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছসমূহের মধ্যে আমলকি, চালতা, জলপাই, হরিতকী, বহেরা,জারুল,পারুল,অর্জুন সহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। পারুল গাছ বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়, তারপরও তিনি পারুল গাছের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেছেন।
ডেপুটি রেঞ্জার শামসুল আলম মনে করেন, কৃত্রিম ও রাসায়নিক খাদ্য ও ঔষধের যুগে, এসব ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের বাগান যদি সারাদেশে করা যায়, তাহলে মানুষের রোগবালাই কম হবে এবং ঔষধি গাছ থেকেই অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব।
এছাড়া ফলজ প্রজাতির গাছগুলো মানুষের ভিটামিন ও মিনারেলর চাহিদা পুরণের পাশাপাশি মানুষকে সুস্থ্য ও প্রাণবন্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনের পাশাপাশি, অক্সিজেনের জোগান দিয়ে বায়ুদূষণের হাত থেকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবে।
Sharing is caring!