বিশেষ প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, “জামায়াতে ইসলামী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—ন্যায়, ইনসাফ ও মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী সমাজ গঠন সম্ভব।
তিনি বলেন, “ক্ষমতায় গেলে জামায়াত এমন একটি সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে, বিচারব্যবস্থা হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ, এবং রাষ্ট্র পরিচালিত হবে আল্লাহভীতি ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে।”
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনের উদ্যোগে পলাশবাড়ী মডেল মসজিদের হলরুমে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাওলানা হালিম আরও বলেন, “আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে মানুষ তার ধর্মীয় বিশ্বাস, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করবে; কেউ অন্যায়ের শিকার হবে না; দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্ত একটি ন্যায়নিষ্ঠ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াত মনে করে—রাজনীতির উদ্দেশ্য ক্ষমতা নয়, বরং জনগণের সেবা। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমেই প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব। ইসলামী আদর্শে অনুপ্রাণিত ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রই সমাজে প্রকৃত শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি আনতে সক্ষম।জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ন্যায়, ইনসাফ ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে ধনী-গরিব, নেতা-কর্মী ও শাসক-শাসিত—সবাই আইনের সামনে সমান হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পলাশবাড়ী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও নির্বাচন পরিচালনা পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক দিনাজপুর জেলা আমীর আনোয়ারুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল করিম এবং জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি ও গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক, সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর এরশাদুল হক ইমন, সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম, পলাশবাড়ী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসেনসহ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের সভাপতি, সেক্রেটারি, কর্মপরিষদ সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ।
Sharing is caring!