১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভোলার মনপুরা ডায়গনেষ্টিক সেন্টারে চলছে টেষ্টের নামে প্রতারণা,নেই প্রশাসনিক মনিটরিং!

admin
প্রকাশিত জুন ২৩, ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ণ
ভোলার মনপুরা ডায়গনেষ্টিক সেন্টারে চলছে টেষ্টের নামে প্রতারণা,নেই প্রশাসনিক মনিটরিং!

Manual3 Ad Code

মো কামরুল হোসেন সুমন,

ভোলা-মনপুরা:

Manual4 Ad Code

ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া মনপুরা ডায়াগনস্টিকে টেস্ট বাণিজ্যের নামে চলছে ভয়াবহ প্রতারণা। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভয়াবহ প্রতারণার ফাঁদ পেতে রাখা মনপুরা ডায়াগনস্টিক কিভাবে অসহায় রোগীদের সাথে করে যাচ্ছে ভয়াবহ প্রতারণা।মাথা ব্যাথা নেই প্রশাসনের।

Manual1 Ad Code

মনপুরা ডায়গনস্টিকে চালু রয়েছে প্যাথলজি বিভাগ, রেডিওলজি বিভাগ ও আল্টাসোনগ্রাফি বিভাগ। কোন বিভাগেই নেই বিধি মোতাবেক কোন ডাক্তার ও টেকনোলজিস্ট। ডায়াগনস্টিক অনুমোদন নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি টেস্টের রিপোর্ট প্রদান করবেন একজন ডাক্তার অথবা একজন বিএসসি টেকনোলজিস্ট। শুধুমাত্র প্যাথলজি বিভাগে রয়েছে নামে মাত্র কারিগরি বোর্ড থেকে পাস করা একজন টেকনোলজিস্ট। উল্লেখ্য যে কারিগরি বোর্ড থেকে পাস করা টেকনোলজিস্টদের সেবা প্রদানে রয়েছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা। অথচ এমন ভয়াবহ প্রতারণা করে যাচ্ছে দিনের পর দিন বছরের পর বছর।

Manual6 Ad Code

অন্যদিকে এক্স-রে, ইসিজি করার জন্য রেডিওলজি বিভাগের নেই কোন রেডিওলজিস্ট। অথচ রেডিওলজিস্ট ছাড়াই এক্স-রে ইসিসির মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যাচ্ছে মনপুরা অবৈধ ডায়গনস্টিক। তবে এই ভুয়া রিপোর্ট পেতে সরকারি মূল্যের চেয়েও চার গুণ বেশি টাকা নিচ্ছে এই অবৈধ মনপুরা ডায়গনস্টিক।

সরোজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডায়াগনস্টিক টি আওয়ামী সরকারের আমলে ২০১৪ সালে সি ক্যাটাগরিতে অনুমোদন নেওয়া হয়, তবে অনুমোদনের কোন শর্তই রক্ষা করছে না মনপুরা ডায়গনস্টিক।
অনুসন্ধানে দেখাতে পারেনি নতুন বছরের লাইসেন্স হালনাগাদ তথ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বজ্র নিষ্কাশন চুক্তিপত্র, অগ্নি নির্বাপক সনদ ও নতুন বছরের ট্রেড লাইসেন্স।

তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ডায়াগনস্টিক এর মালিক আওয়ামী যুবলীগ নেতা ফারেজ সামী বর্তমানে পলাতক। বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন ভোলার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এসব সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে খুব শিগগিরই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

উল্ল্যখ, নীতিমালায় রয়েছে সরকারি হাসপাতালের এক কিলোমিটারের মধ্যে দেওয়া হবে না কোন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক অনুমোদন। অথচ হাসপাতালে গেটেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নাকের ডগায় এমন ভয়াবহ প্রতারণার ফাঁদ পেতে রেখেছে মনপুরা ডায়াগনস্টিক। বিষয়টি নিয়ে রয়েছে জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন।

সাথে থাকুন, বিস্তারিত আসছে ২য় পর্ব

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code