১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা,বখাটে যুবক গ্রেফতা

admin
প্রকাশিত মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ণ
ছাতকে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা,বখাটে যুবক গ্রেফতা

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :: ছাতকে ১০ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনার চেষ্টা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে উপজেলার জহির পুর গ্রামের বখাটে যুবক মোঃ সাবুল মিয়ার বাড়িতে ভাংচুর করেছে জনতা।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দিনগত রাতে ভাতগাঁও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতেই বখাটের ঘর-বাড়ি ভাংচুরের পর এলাকায় তার গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র- জনতা।

শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে পুলিশ বখাটে মোঃ সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার পিতা- মাতার জিম্মায় রেখে শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানাগেছে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল
৮.০০ টার দিকে উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী (১০) গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে পড়তে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মৃত ছমরু মিয়ার বখাটে ছেলে মোঃ সাবুল মিয়া (২৫) ওই শিশু শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসার দু ‘তলায় নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে ।

এসময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় বখাটে মোঃ সাবুল মিয়া। দিনব্যাপী ঘটনা গোপন রেখে সমঝোতার চেষ্টা করেন সাবেক ইউপি সদস্য সহ গ্রামের একটি মহল। এক পর্যায়ে সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হলে বিষয়টি গ্রাম জুড়ে জানাজানি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে রাতে বখাটে মোঃ সাবুল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাংচুর করে এলাকাবাসী৷

এসময় তারা বখাটে যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকায়
বিক্ষোভ মিছিল করে। জাহিদপুর ক্যাম্প ও জাউয়াবাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

এদিকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভোররাতে দোলার বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কুর্শি গ্রাম থেকে অভিযুক্ত বখাটে যুবক মোঃ সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

জাহিদপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম জানান,
এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানিয়েছেন,ভিকটিমের পিতা সানো মিয়া বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং ২০) দায়ের করেন।

এ মামলায় ধৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।সকালে ভিকটিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) প্রেরণ করা হয়েছে।

Sharing is caring!