২২শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা রজব, ১৪৪৭ হিজরি

বেঁধেছে বাসা ‘ঘুঘু’ পাখি

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৭:৫১ অপরাহ্ণ
বেঁধেছে বাসা ‘ঘুঘু’ পাখি

Manual2 Ad Code

জায়েদ আহমেদ,মৌলভীবাজার:

Manual1 Ad Code

বাসা বাঁধার মৌসুম ছাড়া সাধারণত ঝাঁকে থাকতে পছন্দ করে ঘুঘু পাখি। ঝােপঝাড়, গাছের ডাল-হােক উচু বা নিচুতে, পছন্দসই জায়গা পেলেই বাসা করে। নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের বেছে নিয়েছে পাখি যুগল।

Manual5 Ad Code

ঘুঘু,অতি পরিচিত সবার এই পাখির নাম। এই পাখি গ্রামাঞ্চলেই বেশি দেখা যায়। লোকালয়ের কাছে বাস করলেও এরা আড়ালে থাকে। তবে গনমাধ্যম কর্মীদের চোখ তো আর আড়াল দেওয়া যায়না। তাদের নজরে ঠিক পড়ে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের খোলা জ্বানালার এক পাশে বাসা বাসা বেঁধে এক জোড়া ঘুঘু বসবাস শুরু করেছে, ডিমও দিয়েছে বংশ বৃদ্ধির জন্য।

ওই অফিসের নৈশ প্রহরী পারভেজ বলেন, অফিসের স্যারের কক্ষের সামনে ছোট্ট গাছে এক জোড়া ঘুঘু পাখি বাসা বেঁধেছে। পরে দুইটি ডিম দিয়েছে। খুব কাছে থেকে সেই ঘুঘুর বাসা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। ঘুঘুর বাসাটির খেয়াল রাখছি। শিকারী বা শিশু-কিশোররা যেন ক্ষতি করতে না পারে।

Manual4 Ad Code

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসেরে একটি জানালার খুলা। সেই খুলা জ্বানালায় বাসা বাধে ঘুঘু পাখি। একটি পাখিকে বাসায় দেখা মিলে এবং অন্য আরও একটি পাখিকে কৃষ্ণচুড়া গাছে বসে থাকতে দেখা যায়।

পরিবেশবাদী ও স্থানীয় শিক্ষক মনজুর আহমেদ আজাদ মান্না জানান, ‘শীত শুরুতেই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নাম না জানা হাজারো রঙ-বেরঙের অতিথি পাখির কলকাকলীতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে কমলগঞ্জের পাহার টিলা, হাওর-বাওর, খাল-বিল, নদী, লেক, পুকুর, জলাশয় ও জলাবনগুলো। কিন্তু একশ্রেণির লোভী মানুষ এলাকার বিভিন্ন খাল-বিলে নানাভাবে পাখি শিকার করে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছে। এদের থাবা থেকে আমাদের জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখার জন্য পাখি বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় অতিথি পাখি শিকার বন্ধে সামাজিক আন্দোলন আজ বেশি প্রয়োজন। কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা প্রয়োগ করছে না।

এ প্রসঙ্গে কমলগঞ্জ জীব বৈচিত্র কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশবাদী আহাদ মিয়া বলেন, ‘দুই বছর আগেও ঘুঘু পাখি চোখে পড়তো না। বর্তমানে তিলা ঘুঘু অনেক বেড়েছে। তিলা ঘুঘুর পালকের রঙ বুকের নিচে ধূসর, পিঠ বাদামি, গলায় কালোর মধ্যে সাদা ফোঁটা ফোঁটা। ঠোঁট বাদামি। পাখির উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে অন্যান্য প্রজাতির ঘুঘু পাখির দেখা মিলবে আমাদের অঞ্চলে।

Manual5 Ad Code

এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর, ইসলামপুর, মাধবপুর এলাকা শিখারিরা প্রায় সময়  ফাদ পেতে এই পাখি ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করে থাকে। বনপ্রাণী বিভাগ প্রায় সময় অভিযান করে। তবে সচেতনতার প্রয়োজন। শীত এলেই এক শ্রেণির অসাধু মানুষ হত্যা করছে এই পরিযায়ী পাখিগুলোকে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code