জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সরাইল-আশুগঞ্জ নির্বাচনী আসনে শাপলা কলি প্রতীকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন অত্র আসনেরই বাসিন্দার দুই সম্ভাব্য প্রার্থী। এর মধ্যে আছেন- ১. ইন্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম ডালিম যিনি আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের সন্তান এবং আশুগঞ্জ উপজেলার প্রধান সম্বন্বয়কারী।
২. এস.এম মহিউদ্দিন যিনি সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সন্তান এবং জাতীয় যুব শক্তির একজন কেন্দ্রীয় নেতা। এই দুজনের মাঝে এনসিপির আরেকজন প্রার্থী-আশরাফউদ্দিন মাহদী যিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহ্বায়ক এবং তিনার বাড়ী ঢাকায়। তিনিও অত্র নির্বাচনী আসনে কাজ করছেন বলে জানা যায়।
তবে এলাকার দুইজন প্রার্থী এবং এলাকার বাহিরের একজন প্রার্থী মোট তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে জনসম্পৃক্ততা তৈরী, এনসিপিকে এই অঞ্চলের প্রতিটা গুড়দোয়ারে পরিচয় করানো, শাপলা কলির একটা হাব তৈরী, তাছাড়া উঠান বৈঠকের দিক থেকেও ২৪ থেকে ২৫ টা উঠান বৈঠক করে ইতিমধ্যেই ইন্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম ডালিম ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
ইন্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম ডালিম তার সততা, বক্তব্য, এলাকা নিয়ে তার সৃজনশীল চিন্তার মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
তাছাড়া এনসিপি এবং শাপলা কলির একটা সুন্দর প্লাটফর্ম তৈরী করেছেন।
কিন্তু গত ১০ই ডিসেম্বর সারা বাংলাদেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ১২৫ আসনে প্রার্থীতার মনোনয়ন ঘোষনার পর অত্র সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কারন এই এলাকায় মনোনয়ন পেয়েছেন আশরাফউদ্দিন মাহদী। যিনি ঢাকায় থাকেন এবং অত্র এলাকার মানুষের সাথে যিনার কোন জনসম্পৃক্ততা নেই।
আজকে আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশাইর গ্রামের বাজারে গনসংযোগে- বহিরাগহ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় অত্র এলাকারবাসীর মানুষ অতি উদ্বেগের সহিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- আমরা আমাদের এলাকার সন্তানদের মনোনয়ন চাই। যাকে আমরা সব সময় পাশে পাবো। যার বাড়ি আমাদের এলাকায়। মাটির টানে হলেও তাকে এই অঞ্চলেই ফিরতে হবে৷ কিন্তু কোথাকার কোন ঢাকার একজন বাসিন্দা আমাদের অঞ্চলে প্রার্থী কি করে হয়?
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি এই অঞ্চলে প্রার্থীতা মনোনয়নে বাস্তবতা বহির্ভূত আচরনের পরিচয় দিয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে শুধু সেন্ট্রালে বসে লবিং পলিসিতে প্রার্থী ঘোষনা দিয়েছে।
তারা আরো বলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির কথা বলে আমাদের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছিলো, নতুন করে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু তারা পুরাতন রাজনৈতিক দলের মতো লবিং পলিসি ব্যবহার করে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের সাথে এক প্রকার প্রতারনা করেছেন।
এনসিপি এই অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে এক বহিরাগত প্রার্থী কে জোড় করে চাপিয়ে রাজনৈতিক বৈষম্যের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
আমরা সরাইল-আশুগঞ্জবাসী এলাকার বাহিরের প্রার্থী সে যেই দলেরই হোক না কেন? আমরা তাদের কাউকে ভোট দেব না। আমরা অবিলম্বে বহিরাগত প্রার্থীকে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপের মাধ্যমে এলাকার প্রার্থীকে দল থেকে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের আশা-স্বপ্ন বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল আচরনের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাবো।
মৈশাইর গ্রামের যুবক থেকে বৃদ্ধ, নারী থেকে বৃদ্ধা সবার একটাই কথা- এই অঞ্চলের সন্তানকে মনোনয়ন না দিলে তারা এই অঞ্চলের নির্বাচন বয়কট করবে। এবং নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যাবেন না মর্মে প্রতিজ্ঞা করেন।
Sharing is caring!