বিশেষ প্রতিনিধি
আজ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলাতে তড়কা (অ্যানথ্রাক্স) রোগ প্রতিরোধে মাংস প্রক্রিয়াজাতকারীদের জন্য সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পলাশ বাড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
পলাশ বাড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হারুন অর রশীদ-এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পলাশবাড়ি উপজেলা উপ সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইয়াসা রহমান তাপাদার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সালাউদ্দীন আহমেদ খান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ লাজু, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ আলমগীর হুসেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, পলাশবাড়ী প্রেস ক্লাব সভাপতি শাহ আলম সরকার, উপজেলা ইসলামীক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মাহবুবুর রশিদ, খামারী আব্দুস সালাম ও মাংস ব্যবসায়ী আজাহার আলী প্রমুখ।
এসময় উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান, সংবাদকর্মী, ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি, খামারী, মাংস ব্যবসায়ী, গরু ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাটি সঞ্চালনা এবং তড়কা (অ্যানথ্রাক্স) রোগ প্রতিরোধে বিস্তারিত আলোকপাত করেন ভেটেরিনারি সার্জন ডা. হেমায়েত রহমান।
তড়কা (অ্যানথ্রাক্স) রোগের কারণ, সংক্রমণ প্রক্রিয়া, প্রতিরোধ ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় বক্তারা বলেন, তড়কা বা অ্যানথ্রাক্স একটি ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধি যা সংক্রমিত পশু থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। তাই পশু জবাইয়ের আগে অবশ্যই পশু’র স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। পশু জবাই এবং মাংস প্রক্রিয়াজাতের সময় গ্লাভস্ অ্যাপণ, ও মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবহার করা জরুরী।
তারা আরো বলেন, তড়কা রোগ প্রতিরোধে সবার আগে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে অসুস্থ বা মৃত পশু জবাই না করা এবং সন্দেহজনক কোনো প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে দ্রুত উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরেনারী হাসপাতালকে অবগত করা উচিত।
Sharing is caring!