
শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু, বিশেষ প্রতিনিধি।
শাইখ সিরাজ একজন বিশিষ্ট কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
জন্ম ১৯৫৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরে। শাইখ সিরাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ভূগোলে। ছাত্র জীবনেই সম্পৃক্ত হন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও সংবাদপত্রের সঙ্গে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে বিপুল গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেন তিনি।
পরে তাঁর নিজস্ব পরিচালনাধীন টেলিভিশন চ্যানেল আইতে শুরু করেন কৃষি কার্যক্রম ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’।
উন্নয়ন সাংবাদিকতার জন্য তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুটি রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন। টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রায় চার দশকের একনিষ্ঠ পথচলার মধ্য দিয়ে শাইখ সিরাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন উন্নয়ন সাংবাদিকতার এক অগ্রপথিক হিসেবে।
গণমাধ্যমে তাঁর উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণায় আমূল পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের কৃষিতে। বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সূচিত হয়েছে বৈপ্লবিক সাফল্য। গ্রামীণ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন।
দেশের অর্থনীতিতে সূচিত হয়েছে কৃষির বহুমুখী অবদান। যুক্তরাষ্ট্রের অশোকা ফেলো শাইখ সিরাজ খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্যবিমোচন বিষয়ে সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯ সালে অর্জন করেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ‘এএইচ বুর্মা অ্যাওয়ার্ড।’
এ ছাড়া তিনি পেয়েছেন এশিয়ার মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘গুসি পিস প্রাইজ’, বৃটেনের ‘বিসিএ গোল্ডেন জুবিলী অনার অ্যাওয়ার্ডস’।
শাইখ সিরাজ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড, চ্যানেল আই এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চ্যানেল আই ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন।
তিনি কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে নিরস বিষয় হিসেবে উপেক্ষিত কৃষিকে জাতীয় সংবাদের প্রধান খবরের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শাইখ সিরাজের রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অনেক। ফেসবুক পরিবারের পক্ষে বিশিষ্ট এই গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের জন্য রইল শুভ কামনা আজকের এই বিশেষ দিনটিতে।
Sharing is caring!