
শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া
চাকরি পূর্ণবহালের দাবিতে উখিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্দোলনে পুলিশের হামলায় আহত স্থানীয় হোস্ট টিচারদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমেদ আনোয়ারী।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক-শিক্ষিকার শারীরিক খোঁজখবর নেন।
জানা গেছে, বুধবার ২০ আগস্ট সকালে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে স্থানীয় হোস্ট টিচাররা চাকরি পূর্ণবহালের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেন।
এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে নারী শিক্ষিকা ও শিক্ষক’কে ভর্তি করা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। পরের দিন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষক-শিক্ষিকার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তিনি চিকিৎসা সেবার মান সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হতে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসায় কোনো ধরনের গাফিলতি না করার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মানবিক দুর্যোগে, দুরবস্থায় মানুষের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। শিক্ষিকা যেন যথাযথ চিকিৎসা সেবা পেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, এজন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তিনি আরো বলেন, শিক্ষকরা জাতির বিবেক। তাদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে আন্দোলনে নেমে আসতে বাধ্য করা হলে, সেটি সমাজের জন্য দুঃখজনক। আহত শিক্ষিকা ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যরা সুবিচার ও তাদের প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবেন বলে আমরা আশাবাদী।
এদিকে একই দিন দুপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন রিফা, স্থানীয় হোস্ট টিচারসহ ২৮ শিক্ষক-শিক্ষিকা’কে বিকেলের দিকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় জেলা জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা আহত শিক্ষিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক প্রকল্পে নিয়োজিত স্থানীয় হোস্ট টিচারদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর থেকে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষকরা ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলন চলাকালে দফায় দফায় পুলিশি অভিযানে বহু শিক্ষক আহত ও গ্রেফতার হয়ছেন।
Sharing is caring!