১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরগুনা ,তালতলীতে প্রতিপক্ষকে দমন করতে মামলা বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন মো: মোফাজ্জেল ফকির ।

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ণ
বরগুনা ,তালতলীতে প্রতিপক্ষকে দমন করতে মামলা বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন মো: মোফাজ্জেল ফকির ।

বিশেষ প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোট বগী পিকে স্কুল সংলগ্ন এলাকায় মো: মোফাজ্জেল ফকির (৫৬) ,পিতা:  মাইনুদ্দিন ফকির এর বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

৫ আগস্টের পর থেকে তিনি নতুন করে মামলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিনের মামলা বাণিজ্য স্থানীয় সূত্র জানায়, মো: মোফাজ্জেল ফকির দীর্ঘদিন ধরেই মামলা বাণিজ্যের সাথে জড়িত। সাংবাদিক থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষক এর পরিবার কেউই তার এই হয়রানি থেকে রেহাই পায়নি। এমনকি স্কুল শিক্ষক ও সাংবাদিক এর পরিবারকেও একের পর এক মামলায় জড়িয়ে তিনি হয়রানি করে আসছেন।

অভিযোগ রয়েছে , সাংবাদিক এর প্রতিবন্ধী মাকেও বাদ দেওয়া হয়নি তার এই মামলা বাণিজ্য থেকে। এই মামলা বাণিজ্য থেকে রেহাই পায়নি ছোট বগী পিকে স্কুল এর সহকারী শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হাওলাদার ও তার পরিবার ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জমি দখল ও মামলা বাণিজ্যের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মো: মোফাজ্জেল ফকির এর । এলাকায় নামে বেনামে দলিল বানিয়ে একটি লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তুলে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছে তার ভাড়াটিয়া বাহিনী ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের বাহিনী ভাড়াটে সাক্ষী দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজায় এবং জমির মালিকদের হুমকি ধামকি দিয়ে হয়রানি করে। একজন ভুক্তভোগী অনুসন্ধান টিমকে জানান, আমি ঢাকায় সাংবাদিকতা করি, আর আমার পরিবার গ্রামে থাকে। চার বছর ধরে মো: মোফাজ্জেল ফকির, আমাদের পরিবারকে মামলার মাধ্যমে হয়রানি করে আসছে। কোর্টে সমাধানের চেষ্টা করলেও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হাজিরা দেন না। তার লাঠিয়াল বাহিনীর কারণে আমরা সবসময় হুমকির মধ্যে থাকি। আমার প্রতিবন্ধী মাকেও তিনি ছাড় দেননি।

অভিযোগ রয়েছে, একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও বর্তমানে মো: মোফাজ্জেল ফকির বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় দাপট দেখিয়ে আসছে । রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে  তিনি এলাকায় দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।

Sharing is caring!