১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কষ্টিপাথর ও ধাতব মূর্তির লোভে কোটি টাকা আত্মসাৎ, গাইবান্ধায় প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগে এলাকাবাসীর উত্তেজনা

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৫:১৭ অপরাহ্ণ
কষ্টিপাথর ও ধাতব মূর্তির লোভে কোটি টাকা আত্মসাৎ, গাইবান্ধায় প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগে এলাকাবাসীর উত্তেজনা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষকে ,কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ব্রিটিশ আমলের ধাতব মুদ্রা, রয়েছে এমন প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যমকুমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ গফুর খান ওরফে ছকু (৬৫) সহ একাধিক ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন– মোছাঃ অজিফা বেগম (পশ্চিম রাজীবপুর), মোঃ নাজমুল হোসাইন (বজর হলদিয়া, সুন্দরগঞ্জ), মোঃ শহিদুল ইসলাম (বুজরু), মোঃ মোত্তালেব মিয়া (পশ্চিম রাজীবপুর), মোঃ জনাব আলী (মধ্যমকুমেদপুর) সহ চক্রের আরও অন্তত ৬ জন সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সময় প্রলোভনে ফেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।

প্রতারক চক্রটি দাবি করে। তারা কষ্টিপাথরের তৈরি মূর্তি ও ধাতব মুদ্রা পেয়েছে, যা বিদেশে বিক্রি করলে কোটি টাকার বেশি পাওয়া যাবে। এজন্য পরীক্ষার খরচ ও প্রক্রিয়াজাত করার অজুহাতে সদস্যদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকারও বেশি সংগ্রহ করা হয়। এমনকি প্রতিটি সদস্যকে ১-২ কোটি টাকা, বিদেশে হজে পাঠানো এবং গ্রিন কার্ড প্রদানের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়।

অভিযোগকারীরা জানান, এই চুক্তি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সম্পাদিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত কল রেকর্ড, চুক্তিপত্র ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনও প্রমাণ হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে।

দীর্ঘ চার বছর ধরে গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে এই চক্রটি নাটকীয় কায়দায় প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

১৫ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে উত্তেজিত হয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন এবং গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

Sharing is caring!