
তানিম আফরিন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কাজল ঢোপ গ্রামে সাইফুল ইসলামের ছেলে গার্মেন্টস শ্রমিক জাহিদ হাসানের (২৩) সাথে একই এলাকার মিশু খাতুন (২২) নামে গর্ভবর্তী যুবতীকে জোর পূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জাহিদ হাসান সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা জানায়, কাজল ঢোপ গ্রামের মোকছেদ আলীর মেয়ে মিশু খাতুন একজন দু:চরিত্রের মহিলা। সে বিভিন্ন ছেলের সাথে ওঠাবসা, কথাবার্তা বলা, অবৈধ কার্যকলাপ করাই তার একমাত্র পেশা। সম্প্রতি জাহিদ বাড়িতে আসলে গত ২৪ এপ্রিল মিশুর বাবা মোকছেদ আলী, মা রুপালী বেগম, তাদের প্রতিবেশী লজেন মিয়া ও আব্দুর রশিদের সহযোগিতায় মিশু খাতুন বিবাহের দাবি নিয়ে জাহিদের বাড়িতে অনশন করে। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিরা কাজী ডেকে এনে রেজিস্ট্রি করে জাহিদের সাথে জোর পূর্বক বিয়ে দেয়। তখন জাহিদ মানসম্মানের কথা চিন্তা করে বিয়া মেনে নেয়। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহের পরই তার স্ত্রী মিশু খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধার খন্দকার এক্স-রে ক্লিনিকে আলট্রাসোগ্রাম করা হয়। রিপোর্টে মিশু খাতুন ১০ সপ্তাহের অন্ত:স্বত্ত্বা বলে জানা যায়। বিষয়টি মিশু খাতুনের পরিবারকে জানালে মিশুর বাবা তাকে বাড়িতে নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে। এ নিয়ে জাহিদ হাসান তার স্ত্রী মিশুকে বাড়িতে না আনায় গত ৭ জুন তার শ্বশুর মোকছেদ আলী ভাড়াটে লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে এসে তাকে অকর্থ ভাষায় গালিগালাজ করে ও যেখানে পাইবে সেখানেই হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। শুধু তাই নয়, বেশি করে দেনমোহরানা ধার্য করে পুনরায় বিয়ে রেজিস্ট্রি করবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলেও হুমকি প্রদান করে।
এ ঘটনায় জাহিদ জানায়, পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিশুকে তার বাড়িতে বিয়ে দেয়। তাকে যেখানে পাইবে সেখানেই মেরে ফেলবে এবং মিথ্যা মামলায ফাঁসাবে বলে হুমকি প্রদান করে। ফলে সে আতংকের মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে সে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত করেন এবং সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুল ইসলাম তালুকদার জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!