ইউরোপ যুদ্ধ চাইলে রাশিয়া ‘প্রস্তুত’, কড়া হুঁশিয়ারি পুতিনের
৩ ডিসেম্বর ২০২৫
স্বপ্না শিমু স্টাফ রিপোর্টার
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধ চায়, রাশিয়া তার জন্য এখনই ‘প্রস্তুত’। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় নেতারা অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাব যোগ করে ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের চেষ্টাকে নস্যাৎ করছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ক্রেমলিনে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে এক বৈঠকের আগে পুতিন এসব কথা বলেন।
প্রায় চার বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সম্প্রতি কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। গত রোববার (৩০ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের বিপরীতে ছিলেন ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান রুস্তেম উমেরোভের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল।
তারই ধারাবাহিকতায় মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন মার্কিন প্রতিনিধিদল। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, কিন্তু যদি ইউরোপ শুরু করতে চায়, তবে আমরা এখনই প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (ইউরোপীয় নেতাদের) কোনো শান্তিপূর্ণ এজেন্ডা নেই, তারা যুদ্ধের পক্ষেই রয়েছে।’ পুতিন দাবি করেন, ইউরোপীয় নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, ‘যুদ্ধের অবসানে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পরিকল্পনায় ইউরোপের নুন প্রস্তাব শুধুমাত্র একটি উদ্দেশ্যেই—পুরো শান্তি প্রক্রিয়াটিকে সম্পূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত করা এবং তারা এমন সব প্রস্তাব আনছে, যেগুলো রাশিয়া মেনে নেবে না বলে তারাও জানে।
এদিকে ক্রেমলিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বৈঠবে লক্ষ্য দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাতের অবসান ঘটানো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ক্রেমলিনে বৈঠকটির স্থায়ীত্ব ছিল চার ঘণ্টারও বেশি। বৈঠকের শুরুতেই উইটকফ ও কুশনারকে পুতিন বলেন, ‘আপনাদের পেয়ে আমি খুবই খুশি।’ জবাবে উইটকফ বলেন, ‘এটি (মস্কো) একটি চমৎকার শহর।’ পরে দুজনের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টের দুই সহযোগী—কিরিল দিমিত্রিয়েভ ও ইউরি উশাকভ।
Sharing is caring!