১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চলনবিলে এসে খালি হাতে ফিরলেন ৫ শতাধিক সৌখিন মাছ শিকারী

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ২, ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ণ
চলনবিলে এসে খালি হাতে ফিরলেন ৫ শতাধিক সৌখিন মাছ শিকারী

Manual6 Ad Code

কাবিল উদ্দিন কাফি,সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি::
প্রতি বছর শীতের আগমনী বার্তা এলেই দলবেঁধে নাটোরের চলনবিলে পলো হাতে মাছ ধরতে নামেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু এবছর পলো হাতে এলেও মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে সৌখিন মাছ শিকারিদের। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে স্থানীয়রা পোনা ধরে ফেলায় বিলটি মাছশূন্য হয়ে পড়েছে বলে দাবি তাদের।

Manual4 Ad Code

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে বাস ও ট্রাকে করে রংপুর ও গাইবান্ধা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ হাজির হন নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলে। বিলের শহরবাড়ি, কয়রাবাড়ি ও নিংগইন এলাকায় পলো নিয়ে তারা নেমে পড়েন মাছ মারতে। কিন্তু বেশিরভাগ শিকারি মাছ পাননি। ফলে হতাশা নিয়েই তারা ফিরছেন এলাকায়।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ি সদরের বাসিন্দা রশিদ জানান, ট্রাক ভাড়া করে তারা ২৫ জন এসেছেন। প্রত্যেকের খরচ পড়েছে ১ হাজার টাকা। চার ঘণ্টা কয়রাবাড়ি এলাকায় পলো ফেলে তাদের ট্রাকের মাত্র দুজন দুটি ছোট বোয়াল পেয়েছেন। তিনি বলেন, এতদিন শুনেছি চলনবিল মাছের ঐতিহ্য। কিন্তু সেই ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের রফিক বলেন, ‘টানা পাঁচ ঘণ্টায় একটিও মাছ পাইনি। খালি হাতে ফিরছি। তবে এলাকাবাসীর সঙ্গে উৎসবে অংশ নিতে পেরেছি এটিই বড় পাওয়া।

রংপুরের পীরগঞ্জের শামীম বলেন, সিংড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল নিয়ে পোনা মেরে নেয়ায় চলনবিলে মাছের বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে বিলটি। সাড়ে তিনঘণ্টা পলো ফেলে একটি বোয়াল মাছ পেয়েছি। স্থানীয় প্রশাসন এই জাল বন্ধ করতে পারলেই চলনবিলে মাছের ঐহিত্য ফিরে পাবে বলে জানান তিনি।

Manual7 Ad Code

পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সভাপতি মোল্লা. মো. এমরান আলী রানা বলেন, আগে চলনবিল বিভিন্ন প্রজাতির মাছে ভরপুর ছিল। এখন বর্ষায় ৩ মাস পানি থাকায় মাছগুলো বড় হতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে। খাল-বিলে যত্রতত্রভাবে মাছ শিকার করাতেও কমেছে উৎপাদন। আগামীতে মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে না পারলে চলনবিলের মাছের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে।

Manual3 Ad Code

সিংড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন বলেন, পলো নিয়ে গাইবান্ধা ও রংপুর থেকে কিছু সৌখিন মাছ শিকারী এসেছিল চলনবিলে মাছ শিকার করতে। তবে পানি বেশি থাকায় তারা মাছ শিকার করতে না পেরে ফিরে গেছে।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code