৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টাকা হলেই মিলে যে কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন

admin
প্রকাশিত মার্চ ১৭, ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ণ
চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টাকা হলেই মিলে যে কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :: টাকা হলেই ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মিলে যে কোন ঠিকানার জন্ম নিবন্ধন, লাগে না কোন বয়সের প্রমান, এমন কি আবাসিক ঠিকানা যাচাইয়ের ও কোন প্রয়োজন হয় না।

এরকম একটি অভিযোগ এর সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে এই প্রতিবেদকের হাতে আসে 20042932119136982 নম্বরের একটি জন্ম নিবন্ধন।

নিবন্ধনে উল্লেখিত ব্যাক্তি নিজ এলাকা আকোটেরচর ইউনিয়নে নিজের নিবন্ধনে বয়স বাড়াতে ব্যার্থ হয়ে স্থানীয় শওকত মাষ্টারের (লোহারটেক বিশ্বাস বাড়ী স্কুলের অফিস সহকারী) সাথে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করেন। আর শওকত  এর কারিশমায় চরভদ্রাসন ইউনিয়ন হতে বয়স বাড়িয়ে নিবন্ধন প্রিন্ট হয় আবেদনকারী রাকিব মোল্যার নামে। অথচ রাকিব মোল্যা চরভদ্রাসন এর স্থায়ী/ অস্থায়ী কিংবা ভাড়াটে নন। এমনকি জন্ম স্থান ও চরভদ্রাসনে নয়।

এ ব্যাপারে শওকত মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই জন্ম নিবন্ধনের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন এর ইউ,পি চেয়ারম্যান আজাদ খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সচিব এবং উদ্যোক্তার যোগসাজশে এরকম হতে পারে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে অভিজ্ঞদের সাথে কথা বললে, একজন সরকারী কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এভাবে চলতে থাকলে রোহিঙ্গারা ভোটার হওয়া/ পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা থাকবে না।

মূলত দুইটি বিষয় নিশ্চিত হলে যে কোন নিবন্ধক জন্ম নিবন্ধন দিতে পারেন, বয়সের সু স্পষ্ট প্রমান আর আবাসিক ঠিকানার প্রমান। কিন্তু সম্প্রতি কিছু আসাধু দালাল চক্র ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা  ও উদ্যোক্তাদের হাত করে কোন উপযুক্ত প্রমান ছাড়া জন্মনিবন্ধন  দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

চরভদ্রাসন উপজেলার  নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা খাতুন বলেন  ভূয়া জন্ম নিবন্ধনের এর এ বিষয়টা আমার জানা ছিল না,যদি আপনাদের কাছে কোন অভিযোগ থাকে প্রমাণসহ আমাকে দিন আমি ব্যবস্থা নিব।

Sharing is caring!