১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পুলিশের ছররা গুলিতে আহত মিলন পায়নি চিকিৎসা সহায়তা

admin
প্রকাশিত মে ২৪, ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পুলিশের ছররা গুলিতে আহত মিলন পায়নি চিকিৎসা সহায়তা

Manual1 Ad Code

পুলিশের গুলিতে আহত মিলনের নাম নেই আহতদের তালিকায়

 

Manual5 Ad Code

কাবিল উদ্দিন কাফি, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ-

Manual3 Ad Code

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত মিলন হোসেন রাকিব পায়নি সরকারি কোনো সহায়তা, এমনকি আহতদের তালিকায় নেই নাম।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বগুড়া শহরে ৪রা আগস্ট পুলিশের ছোঁড়া ১৮টি ছররা গুলিতে আহত হন মিলন। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো চিকিৎসা খরচ পায়নি সে। এমনকি সরকারের করা আহতদের তালিকায় নেই তার নাম।

মিলন হোসেন রাকিব নাটোরের সিংড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির ১নম্বর সদস্য ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি পৌরসভার নিংগইন মহল্লার মৃত কালাম ও মোছা: মরিয়ম বেগম দম্পতির সন্তান।

সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় তার শরীরে লাগা ১৮তম গুলি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতা মিলন হোসেন রাকিব বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে তিনি ১৮ জুলাই প্রথম দিনে সিংড়ায় আন্দোলনে অংশ নেয়। এরপর ১৯ জুলাইও আন্দোলন করে। পরবর্তীতে ১লা, ২রা, ৩রা ও ৪রা আগস্ট বগুড়া শহরে ছাত্র-জনতার সাথে আন্দোলনে অংশ নেয়। পুলিশের সাথে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ৪রা আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে তার শরীরে ১৮টি ছররা গুলি ঢুকে। তাৎক্ষণিক তাকে বগুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ১৫টি গুলি বের করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি আনা হয়। সরকার পতনের দিন ৫ আগস্ট সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আহত অবস্থায় পূণরায় সে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।

মিলন আরও বলেন, দেশের স্বার্থে নিজের পরিবার ও জীবনের কথা চিন্তা না করে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে পুলিশের গুলিতে আহত হই। এ পর্যন্ত কোনো সরকারি সহযোগিতা পাইনি। পরিবারের অর্থ দিয়েই চিকিৎসা করেছি। সরকারের কাছে আবেদন আমাকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হোক।

Manual8 Ad Code

মিলনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকার কোনো সহযোগিতা করেনি। সংসারের টাকায় ছেলের চিকিৎসা খরচ ব্যয় করেছি। সরকারের কাছে আমার আবেদন, সরকারি তালিকায় আমার ছেলের নাম তুলে দিবেন এবং চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা দিবেন।

উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, মিলন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় নেতা। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হলেও সরকারি তালিকায় তার নাম নেই। পরিবারের অর্থে চিকিৎসা করেছেন। তার নাম তালিকাভুক্ত করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Manual8 Ad Code

এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকারিভাবে তালিকা হয়েছে। কিছুদিন আগে দ্বিতীয় দফা তালিকা হয়েছে। তিনি এখন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে যোগাযোগ করলে সরকারি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেন। এছাড়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code