
◻️ চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চাঁদা না পেয়ে উপজেলা ইডিসি ভবন নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে মারধর, ৫ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়া ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া এবং খালি স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী ৫ নং ওয়ার্ড বাহারউল্লাহ পাড়ার মৃত সোলতান আহমদের পুত্র মুফিজুর রহমান (৫৫) এবং ৩ নং ওয়ার্ডের একরাম আলীর পুত্র আব্দুল মান্নান (২৭) এর বিরুদ্ধে।
গত ২১ মে সকাল ৯ টায় বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে নির্মাণাধীন ইডিসি ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ছাদে এই ঘটনা সংঘটিত হয় বলে টিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরিফ এন্টারপ্রাইজ এর ব্যবস্থাপক মহিব্বুল্লাহ (৫২) বাদী হয়ে অভিযুক্ত মুফিজুর রহমান ও আব্দুল মান্নানসহ আরো অজ্ঞাত ১৫/২০ বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় এজহার দায়ের করেন।
ঠিকাদার মহিব্বুল্লাহ বলেন,২০২৪ অর্থবছরের শুরুতে মেসার্স আল আরিফ এন্টারপ্রাইজ কাজটি পায় দরপত্রের মাধ্যমে। প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের ইডিসি ভবনের ৬ষ্ঠ তলার ভবন নির্মাণকাজ ঠিকটাক মতো কাজ চলছিলো। ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গেলে অভিযুক্তরা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ১৫/২০ জনের সংঘবদ্ধ টিম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে কাজ বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে বিবাদীরা ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে মারধর ও জখম করে। অভিযুক্ত আসামী মুফিজুর রহমান ও আব্দুল মান্নান আমার মাথায় দেশীয় বন্ধুকের নল ঠেকিয়ে তিনটি ননজুডিশিয়াল স্টাম্প বের করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে। এ সময় আসামীরা আমার শফিং ব্যাগে থাকা নগদ ৫ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এবং প্রাণে মেরে ফেলা ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকী প্রদান করেন।’
চাঁদাবাজি ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে মুফিজুর রহমান বলেন, শ্রমিকের টাকা না দেওয়ায় তাদের অনুরোধে আমি সেখানে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। মূলত শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য ঠিকাদার পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা সাজিয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কাজে বাধা ও চাঁদাদাবীর অভিযোগে
টিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরিফ এন্টারপ্রাইজ এর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sharing is caring!