২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বেন্ডিজ করিমের চোরাচালানের খুঁটির জোর কোথায়

admin
প্রকাশিত মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ণ
স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বেন্ডিজ করিমের চোরাচালানের খুঁটির জোর কোথায়

Manual2 Ad Code
  • সিলেট অফিস :: নাম বেন্ডিস করিম,সিলেটের সীমান্ত রাজ্য জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ঘিলাতৈল গ্রামের। শীর্ষ চোরাকারবারি ও চোরাকারবারীদের গডফাদার।

জৈন্তাপুর উপজেলার ঘিলাতৈল গ্রামের মছদ্দর আলীর ছেলে আব্দুল করিম,অবশ্য আবদুল করিম নাম বললে কারো সাধ্য নেই লোকটিকে চেনার। বিশেষণ হিসেবে নামের আগে যুক্ত করতে হবে বেন্ডিস,অর্থ্যাৎ বেন্ডটিস করিম এই নামেই জৈন্তার চোরাচালান রাজ্যের সাথে মিশে গেছে নামটি। তাঁর নেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি। তিনি চোরাচালান রাজ্যের এক মুকুটহীন সম্রাট।

জৈন্তাপুর জুড়ে বেন্ডিস করিমের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে চলছে প্রশাসনের নামে চোরাচালানের লাইনম্যান পরিচয়ে চাঁদাবাজি।

তার রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। প্রতিদিন দিন ও রাতে অবৈধ ভারতীয় নিষিদ্বকৃত নানারকম মালামালের পরিবহণ হতে বেন্ডিস করিমের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে প্রশাসনের নামে চাঁদাবাজি চললেও অদৃশ্য কারণে যেনও তার কাছে অচল দেশের আইন-কানুন! তাতেই অল্পদিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন করিম।

তার বিরুদ্ধে একাধিক গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদেও টনক নড়ছে না স্থানীয় প্রশাসনের ।

Manual2 Ad Code

এজন্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে জৈন্তাপুরের শীর্ষ চোরাকারবারি বেন্ডিস করিম সিন্ডিকেট।

অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের লাইনম্যান পরিচয়ে বেন্ডিস করিম এমন চাঁদাবাজি করলেও অদৃশ্য কারণে নিরব দর্শকের ভূমিকায় স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় সচেতন মহল হামলা ও মামলার ভয়ে এবিষয়ে কথা বলতেও নারাজ।

Manual8 Ad Code

তবে সিলেট জেলা পুলিশের ডিবি পুলিশ ও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের নামে এই চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে দৈনিক। বেন্ডিস করিম স্থানীয় প্রশাসনের সমূহ ও সেক্টরের সহীত গড়ে তুলেছে গভীর দহরম-মহরম।

এদিকে গত বুধবার (১২ মার্চ) শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীসহ একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়েছে।

অভিযানে প্রায় ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ২শ টাকা মূল্যের প্রসাধনী উদ্ধার করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত মো. নুর উদ্দিন (৩৩), জৈন্তাপুর থানার ঠাকুরেরমাটি গ্রামের মাখন মিয়ার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া বিজিবি জানায়, গত মঙ্গলবার বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর সীমান্তের বিভিন্ন স্থান থেকে এ চালান জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত ভারতীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে, বিপুল পরিমাণ শাড়ী, লেহেঙ্গা, থান কাপড়, কসমেটিক্স, জিরা, বাসমতি চাল, চিনি, কমলা, পোস্তদানা, কাজুবাদাম ও কিসমিস।

যার বাজারমূল্য ২১ কোটি টাকা।তবুও থামছে না বেন্ডিস করিমের রামরাজত্ব, সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান চক্রের গডফাদার বেন্ডিস করিম প্রতিদিন রাতে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু, স্বর্ণ, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, অস্ত্র, ভারতীয় ফালি (কাঠ), লাকড়ি, জাল টাকা, মাছ ধরার বরশি, শাক-সবজি, ভারতীয় বিড়ি ও গরু পাচাঁর করছে।

পাচাঁরকৃত মালামাল থেকে নামে-বেনামে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ নিয়ে পত্রিকায় একাধিক বার সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেন্ডিস করিম এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে এই চোরাচালান চক্রের গড়ফাদার লাইনম্যানের দাপট ও চাঁদাবাজির পরিমান আরো বেড়ে গেছে।

Manual3 Ad Code

স্থানীয় এলাকার লোকজন তাকে সীমান্তের রাজা হিসাবে চিনেন। কিন্তু চোরাচালান চক্রের গডফাদার বেন্ডিস করিম এখন এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে জৈন্তাপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। বেন্ডটিস করিম তার একটি চোরাচালান চক্র নিয়ে সীমান্ত এলাকায় ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করছে।

বিনিময়ে বেন্ডটিস করিম তার বাহিনীর লোকজন নিয়ে জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে দিনের আলোতে ও রাতের আধাঁরে টাকার বিনিময় বুঙ্গার মাল পাচার করছে।

বেন্ডটিস করিম এর লাইনম্যানদের পাহরায় টিপরাখলা ও ঘিলাতৈল সীমান্ত দিয়ে শীর্ষ চোরাকারবারীদের বড় বড় গরুর চালান দেশে আসছে। সাথে রয়েছে মাদকের চালান।

মটরশুঁটির বদলে ভারতে যাচ্ছে দেশী সুপারী। বেন্ডটিস করিম কিন্ত রাজার বেশে তার রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। সে কোন কিছুর পরোয়া করছে না।

 

কিন্তু রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন সীমান্তের রাজা চোরাচালান চক্রের গডফাদার বেন্ডিস করিম এর বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সীমান্ত এলাকায় বেন্ডটিস করিম ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করছে।

Manual8 Ad Code

জৈন্তাপুর উপজেলায় রয়েছে তার বিলাশ বহুল বাড়ি ও গাড়ি। রয়েছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি। সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানকারীদের নেতৃত্ব দিয়ে বেন্ডিস করিম এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার কোন নজর নেই করিমের উপর। তার এমন কান্ড দেখে অবাক উপজেলাবাসী। চোরাচালান চক্রের গডফাদার বেন্ডিস করিম এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।

এব্যাপারে বেন্ডিস করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে গালাগাল করে ফোন কেটে দেন।

এব্যাপারে জানতে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন করিম নামের কাউকে আমি চিনি না এবং তাহার সাথে আমার কোনদিন দেখাও হয় নাই, তবে চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি অভিযোগ সত্য হলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নেব ।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code